বিয়ে করেও রিজিক বাড়েনা কেন?
জনৈক ব্যক্তিঃ শায়েখ, কুরআনে বলা হয়েছে বিয়ে করলে রিজিক বাড়ে, কই আমার তো বাড়লো না। বরং আরো খারাপ হলো..
.
শায়েখঃ তুমি বিয়ে করেছো কত বছর বয়সে?
.
জনৈক ব্যক্তিঃ বত্রিশে।
.
শায়েখঃ মানুষের যৌবনের সবচে বিপজ্জনক সময়টি হচ্ছে ২১-২৫ বছর বয়সের সময়টুকু, ওই সময়ে তুমি সবধরনের পাপ থেকে মুক্ত ছিলে?
.
জনৈক ব্যক্তিঃ একটু আধটু পাপ তো সবারই হয় শায়েখ, মানুষ কি ফিরিশতা নাকি?
.
শায়েখঃ একটু আধটু পাপ থেকে নিজেকে বিরত রাখার জন্য তখন বিয়ে করোনি বলেই তোমার বিয়ের পরে অভাব যায়নি কারণ কুরআনে বলা হয়েছে চরিত্র রক্ষার্থে বিয়ে করলে আল্লাহ দায়িত্ব নেবেন। তুমি তো সামাজিক দায়বদ্ধতা পূরণের জন্য বিয়ে করেছো, চরিত্র রক্ষার্থে নয়।
.
জনৈক ব্যক্তিঃ ইয়ে মানে... তখন বিয়ে করলে তো আমার ক্যারিয়ার নষ্ট হতো..
.
শায়েখঃ বিয়ের পর তোমার অভাব বৃদ্ধি পাওয়ার দ্বিতীয় কারণ এটা! তুমি আল্লাহর চেয়ে একটু বেশি বুঝতে চেয়েছো, মুমিনের সফলতা আল্লাহর সন্তুষ্টিতে। তুমি আসল সফলতার চিন্তা না করে কোন সফলতার দিকে দৌড়াচ্ছিলে? তোমাকে বলা হয়েছে যখনই বিয়ের সময় হবে বিয়ে করো, ধনী বানানোর দায়িত্ব আল্লাহর। তুমি ঠিক সময়ে বিয়ের চিন্তা বাদ দিয়ে নিজে কেনো ধনী হতে চিয়েছিলে?
.
জনৈক ব্যক্তিঃ শায়েখ আমি ঈমান রক্ষার্থে সচেষ্ট ছিলাম তবুও কেনো কোনো পুরস্কার পেলাম না আল্লাহর কাছ থেকে?
.
শায়েখঃ স্ত্রীর নির্বাচনের সময় কোন জিনিসের প্রাধান্য সবচে বেশি দিয়েছো?
.
জনৈক ব্যক্তিঃ অভাব অনটনে জীবনটা শেষ শায়েখ, সম্পদটাই বেশি দেখেছি।
.
শায়েখঃ তোমার অভাব বৃদ্ধি পাওয়ার তিন নম্বর কারণ এটা। হাদীসে এসেছে যে ব্যক্তি স্ত্রী নির্বাচনে স্ত্রীর সম্পদের প্রতি লোভ করবে বিয়ের পর তার অভাব অনটন বেড়ে যাবে।
.
জনৈক ব্যক্তিঃ উফফফ...
.
শায়েখঃ শান্ত হও পুত্র! মুমিন কখনো হতাশ হয় না। মুমিনের ভুল সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হলেও আল্লাহর ক্ষমার কাছে তা অতি ক্ষুদ্র! কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো, তওবা করো। আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করবেন এবং তোমার রিজিকে বারাকাহ দান করবেন ইনশাআল্লাহ...
লিখাঃ - জোবায়ের রাফি
No comments