আগে বিয়ে, না পড়াশোনা?
▌আগে বিয়ে, না পড়াশোনা?
·
মাদীনাহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আচার্য, বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহ, আমাদের সম্মানিত পিতা, আশ-শাইখ, আল-‘আল্লামাহ, ইমাম ‘আব্দুল মুহসিন আল-‘আব্বাদ আল-বাদর (হাফিযাহুল্লাহ) [জন্ম: ১৩৫৩ হি./১৯৩৪ খ্রি.] প্রদত্ত ফাতওয়া—
প্রশ্ন: “আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। একটি প্রশ্ন রয়েছে। আর তা হলো—একজন প্রাথমিক পর্যায়ের ত্বালিবে ‘ইলমের প্রতি আপনার নসিহত কী? তার কি বিয়ে করা ঠিক হবে? না কি সে তার স্টাডি কন্টিনিউ করবে, এবং কয়েক বছর ‘ইলম অর্জনে ব্যাপৃত থাকার পর বিয়ে করবে?”
উত্তর: “না, এটি সঠিক পদ্ধতি নয়। সঠিক পদ্ধতি হলো, সামর্থ্য হওয়ামাত্র সে জলদি বিয়ে করবে। যেসব জিনিস ব্যক্তিকে ‘ইলম অর্জনে আগ্রহী করে, বিয়ে তার মধ্যে অন্যতম। কেননা কেউ যখন ‘ইলম চর্চায় লিপ্ত হয়, অথচ তার স্ত্রী নেই, তখন সে বিয়ে নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা করে এবং বিয়ে ও তার আনুষঙ্গিক বিষয়াদি নিয়ে মশগুল হয়। পক্ষান্তরে যখন সে বিয়ে করে, তখন সে তার চক্ষু অবনমিত করে, নিজের যৌনাঙ্গ হেফাজত করে এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হয়। এটা পরিক্ষিত বিষয়। এমন অসংখ্য ত্বালিবে ‘ইলম আছে, যারা পড়াশোনায় শ্রেষ্ঠত্বের স্বাক্ষর রেখেছে এবং অন্যদের চেয়ে ভালো করেছে; অথচ তারা বিয়ে করেছিল খুব কম বয়সে।
কিন্তু যে দেরি করে বিয়ে করে এবং পড়াশোনা চালিয়ে যায়, সে ওই ছাত্রের মতো হয় না—যে তার অন্তর-ঈপ্সিত বিষয় গ্রহণ করেছে, নিজে সচ্চরিত্র হয়েছে, অন্যকে সচ্চরিত্র করার প্রয়াস পেয়েছে এবং পড়াশোনায় মনোযোগী হয়েছে। বিয়ে ও পড়াশোনার মধ্যে সমন্বয় করা এবং দ্রুত বিবাহ করাকে ছোটো করে দেখা যাবে না। যেহেতু রাসূল ﷺ বলেছেন, “হে যুব-সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিবাহের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিবাহ করে। কারণ বিবাহ চক্ষুকে অবনমিত করে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করে। আর যে ব্যক্তি ওই সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোজা রাখে। কেননা তা তার জন্য ঢালস্বরূপ (অর্থাৎ, কামভাব প্রশমনকারী)।” [সাহীহ বুখারী, হা/৫০৬৬; সাহীহ মুসলিম, হা/১৪০০]
তাই যেসব ত্বালিবে ‘ইলম বিবাহ করতে সক্ষম, তাদের সবাইকে আমি নসিহত করছি, তারা যেন বিয়ে করতে দেরি না করে, বরং দ্রুত বিবাহ সম্পন্ন করে। কারণ বিবাহ হলো ফলদায়ক ‘ইলম অর্জনের জন্য খুবই সহায়ক।”
·
তথ্যসূত্র:
·
অনুবাদক: মুহাম্মাদ ‘আব্দুল্লাহ মৃধা
No comments