তওবার পথ বন্ধ হইনি এখনো | ফিরে আসুন এখনি
চলুন তবে,তাওবা করে আসা যাক!!!পাড়ি দিয়ে আসি তওবার পাহাড়।এক আলোকিত যাত্রার শুরু হোক তবে আজ থেকে,,
◾কি ভাবছেন,আপনি পাপের সমুদ্রে ডুবে ছিলেন,সারা জীবন আল্লাহর অবাধ্যতায় কাটিয়ে দিলেন,আর এখন ক্ষমা পাবেন কিনা,,,,
"◾আমাদের পাপের সীমা আছে কিন্তু যিনি গফুরুর রহিম তার ক্ষমার কোন সীমা,পরিসীমা নেই"
◼হাদিসে কুদসিতে এসেছে,আল্লাহ বলেছেন,"হে আদম সন্তান,তুমি যতক্ষন আমাকে ডাকতে থাকবে,আমার কাছে ক্ষমা চাইতে থাকবে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব কোন পরোয়া করবনা।
হে আদম সন্তান,তুমি যদি গোটা বিশ্বের সমান পাপ নিয়ে আমার কাছে আসো ও শিরক মুক্ত হয়ে আমার সাথে সাক্ষাত করো আমি গোটা বিশ্বের সমান ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে আসব"
সুবহানাল্লাহ, আমার রব কতই না মহান।
◾আমার রব যেন পরম স্নেহভরে তার পবিত্র সান্নিধ্য আমাদের প্রতিনিয়তই ডাকছে, আগলে নিতে চাইছে আমাদের এই দুনিয়ার মোহ থেকে।
অথচ,আমাদের গাফেল অন্তর প্রতিনিয়ত নিজের উপর জুলুম করে যাচ্ছি,,
◾শয়তান আমাদের অন্তরে নিরাশার চারা বপন করে যাচ্ছে,,,,আমাদের হেরে গেলে চলবেনা,আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ হলে চলবেনা,,,কেননা আল্লাহ পবিত্র কুর আনে ঘোষনা করেছে,,,তার বান্দা যত বড় গুনাহ করুক,সে যদি তওবা করে ফিরে আসে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন।"
◾তওবার পর পুনরায় পাপ করছেন আর ভাবছেন একি পাপের ক্ষমা আল্লাহ করবেন কিনা!!!!
⬛আমরা পাপ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যেতে পারি কিন্তু আমার রব,পরম ক্ষমাশীল ও দয়ালু তিনি যে কখনো ক্লান্ত হন না।
▪সূরা বাকারা তে এসেছে,,"নিশ্চয়ই আল্লাহ ঘন ঘন তাওবাকারীদের ভালবাসেন"
অর্থাৎ,যারা বারংবার তাওবা করে আল্লাহর নিকট।
আর তাওবা তারাই করে যারা বার বার গুনাহ করে।
◾কি আবার ও শয়তান প্ররোচিত করছে,আর ভাবছেন তাহলে পরিকল্পনামাফিক গুনাহ করে একেবারে তাওবা করে নিবেন,,,,,,তাহলে জেনে আসি তাওবা ও তার শর্ত::::
তাওবা র অর্থ হচ্ছে ফিরে আসা অর্থাৎ আল্লাহর কাছে ফিরে আসা।শুধু মুখে তাওবা করলেই ফিরে আসা যায়না,তাওবা কবুলের ৩টি শর্ত আছে,
▪পুরোপুরি ভাবে গুনাহ পরিত্যাগ করা,যে গুনাহের জন্য তাওবা করলেন তা যদি ছেড়ে না দেন তাহলে কি তাওবা কবুল হিওয়া সম্ভব!
▪তাওবার সময় অন্তরের অন্ত:স্থল হতে প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে সে আর ওই পাপের সাথে জড়াবেনা,
যদি বান্দা পুনরায় ওই কাজের ক্ষুদ্রতম ইচ্ছা রাখে তবে মনে রাখবেন এতে শুধু নিজেকেই ধোকা দেওয়া হবে,আল্লাহকে নয় কেননা আল্লাহ তো আল লতিফু খবির অর্থাৎ,সবথেকে সুক্ষন তর বিষয়ে ও তিনি অবগত।
▪আক্ষেপ ও অনুশোচনা করা যাবেনা এবং সাথে কোন বান্দার হক্ব নষ্ট করা যাবেনা,,,,।
▪সূরা আত-তাহরীম (আয়াত: ৮)
▫ মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে তওবা কর-আন্তরিক তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মন্দ কর্মসমূহ মোচন করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দাখিল করবেন জান্নাতে, যার তলদেশে নদী প্রবাহিত। সেদিন আল্লাহ নবী এবং তাঁর বিশ্বাসী সহচরদেরকে অপদস্থ করবেন না। তাদের নূর তাদের সামনে ও ডানদিকে ছুটোছুটি করবে। তারা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের নূরকে পূর্ণ করে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি সবকিছুর উপর সর্ব শক্তিমান।
◼রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বান্দার তাওবাহ'র কারণে সেই লোকটির চেয়েও বেশি খুশি হন; যে লোকটি মরুভূমিতে তাঁর উট হারিয়ে যাওয়ার পর তা পেয়ে যায়।' (বুখারি, মুসলিম)
তবে কি এখনি সেই সন্ধিক্ষন,তবে কি এখনই ফিরে যাওয়ার সময় মহান রবের কাছে,,,,এখনই সময় প্রত্যাবর্তন এর,,,,এবার কি তাহলে গুনাহের সমুদ্রে হাবুডাবু খাওয়ার পালা শেষ করে আল্লাহর রহমতের সমুদ্রে পদার্পনের পালা।
হ্যা,,,,প্রিয় ভাই বোনেরা আজ থেকেই তবে ফিরে আসা যাক এক আলোর পথে,,পাড়ি দেওয়া যাক তাওবার পাহাড় আর পদার্পন হোক এক প্রশান্তি আর রহমতে ঘেরা সুবিশাল উদ্যানে।
Asiyah Humayra
No comments