Header Ads

Header ADS

দ্বীনদার না পেলে বিয়ে না করাই তো উত্তম, তাই না ভাই?

-কোর'আনে আছে ‘তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে কতেক তোমাদের শত্রু" - দ্বীনদার মেয়ে না হইলে বিয়া না করাই তো উত্তম তাই না ভাই?
.
দেখুন: পৃথিবীতে সবচেয়ে উত্তম মানুষ হইলো নবী এবং রাসুল গন।এই নবী রাসুলগনেরও সবার স্ত্রী ভালো হয় নাই।যেমন লুত (আ:) এর স্ত্রী সমকামীদের সমর্থন করতেন।নুহ (আ:) এর স্ত্রী তার উপর ইমান আনে নাই।এরকম অনেক নবীরই স্ত্রী ছিলেন যারা ভালো ছিলো না।কিন্তু স্ত্রী ভালো হবে না এই অজুহাতে কোনো নবীই বিয়া করা থেকে বিরত থাকেন নাই- একমাত্র ইসা (আ:) ব্যতিত।তিনিও পৃথিবীতে আবার এসে বিয়া করবেন।
.
নবীদের পরে সর্বউত্তম কারা? তার সাহাবীগন (রা:)।
দেখুন এই সাহাবীদেরও সবার স্ত্রীও ফেরেশতা টাইপের ছিলো না।যদিও তারা অপরাধ করলে আল্লাহর কাছে সাথে সাথে ক্ষমা চেয়ে নিতেন।
.
এই একদম ফেরেশতা টাইপের মেয়ে বিয়া করবেন- এছাড়া বিয়ে থেকে বিরত থাকবেন এটা যুক্তির কথা না।তাহলে হাদিসে বলাই দেওয়া হতো বিয়া শুধু দ্বীনদার মেয়ে পাইলেই ফরজ।অন্যথায় বিয়া কইরো না।
.
কিন্তু দেখুন: হাদিস গুলো হলো নিজের চরিত্র পবিত্র রাখার উদ্দেশ্যে বর্নিত।রাসুল (স:)  বলেন: হে যুবকরা বিয়ে করো! বিয়ে তোমাদের চক্ষু নিমজ্জিত রাখবে। তোমাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে!.
.
চক্ষু কেন নিমজ্জিত রাখতে হবে?
.
কারন দৃষ্টি হলো শয়তানের তীর।এই দৃষ্টি মানুষের মনে উত্তেজনা তৈরি করে।খারাপ কাজ করতে প্রভাবিত করে।দৃষ্টি নিমজ্জিত রাখা ছাড়া লজ্জাস্থান হেফাজত করা অসম্ভব।তাই দৃষ্টি নিমজ্জিত রাখো!.
.
আর লজ্জাস্থান হেফাজত বলতে কি বুঝায়? বুঝায় অবৈধ ভাবে নিজের যৌন উত্তেজনা না মিটানো।আল্লাহ কোর'আনে বলেন: অধিকারভুক্ত দাসি এবং বিবাহিত স্ত্রী ব্যতিত অন্য কোনো পন্থায় যৌন উত্তেজনা মিটানো হারাম।অবাধ্যতা।
.
অর্থাৎ আপনি রাস্তায় চোখ নিমজ্জিত রাখলেন-(যদিও বর্তমানে যদিও এটা অসম্ভব ব্যাপার) তারপরও পুরুষ হিসেবে আপনার মনে কামনা তৈরি হবেই।(হ্যা যদি অনেক তাকওয়াপূর্ণ মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে ভিন্ন কথা।কিন্তু আমরা সাধারন মানুষেরা আসলেই এরকম তাকওয়াদার নয়।)যদি কামনা তৈরি হয়- আর আপনি তা হস্তমৈধুন করা কিংবা - পর্নদেখে তৃপ্তি নেয়া হারাম কাজ।আল্লাহর অবৈধ্যতা।
.
“আর যারা নিজেদের যৌনাঙ্গকে হেফাযত করে। নিজেদের স্ত্রী বা মালিকানাভুক্ত দাসীগণ ছাড়া; এক্ষেত্রে (স্ত্রী ও দাসীর ক্ষেত্রে) অবশ্যই তারা নিন্দিত নয়। যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।”

— [সূরা মুমিনুন, আয়াত: ৫-৬]
.
ইমাম শাফেয়ি ‘নিকাহ অধ্যায়ে’ বলেন:
.
‘স্ত্রী বা দাসী ছাড়া অন্য সবার থেকে লজ্জাস্থান হেফাযত করা’ উল্লেখ করার মাধ্যমে স্ত্রী ও দাসী ছাড়া অন্য কেউ হারাম হওয়ার ব্যাপারে আয়াতটি সুস্পষ্ট। এরপরও আয়াতটিকে তাগিদ করতে গিয়ে আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন (ভাবানুবাদ): “যারা এর বাইরে কিছু কামনা করবে তারাই সীমালঙ্ঘনকারী।” সুতরাং স্ত্রী বা দাসী ছাড়া অন্য কোন ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গ ব্যবহার করা বৈধ হবে না, হস্তমৈথুনও বৈধ হবে না। আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন।
.
— [ইমাম শাফেয়ি রচিত ‘কিতাবুল উম্ম’]
.
আলেম উলামা এ ব্যাপারে একমত- যে যখন পাপ করার সম্ভবনা তৈরি হবে তখন বিয়ে করা ফরজ।কিন্তু এক্ষেত্রে মেয়ে দেখতে গিয়ে যদি পুরিপুর্ন  দ্বীনদার মেয়ে পাওয়া অসম্ভব হয়ে যায় তখন কম দ্বীনদার মেয়েদেরও বিয়ে করতে হবে হারাম থেকে বাচার জন্য।
.
যেখানে ইহুদি /খুস্টান বিয়ে করা কিংবা দাসিদের সাথে যৌনতার বৈধতা আছে সেখানে কম দ্বীনদার মুসলিম নারীকে বিয়া করা যাবে না এমন কথা তো পাগোলেও বলবে না।
.
দেখুন: বিয়ে না করে আপনি হয়তো ভাবছেন আপনি ভালো থাকবেন কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনার ব্যভিচারে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ১০০%। তাই বিয়ে কর নিজের চরিত্র রক্ষা করুন।
.
এ ব্যাপারে যদি সংশয় হয়ে যে বিয়ের পরে স্ত্রী দ্বীন পালনে বাধা হয়ে দাঁড়াবে তবে বিয়ের পরেই স্ত্রীকে তাওহীদ আকিদা- ইত্যাদি ব্যাপারগুলা ভালোভাবে শিখান- তাকে দ্বীনের উপরে উঠান।
.
তোমরা পুণ্যের কাজ ও তাকওয়া অর্জনে একে অন্যের সহযোগিতা কর। (মায়িদা : ২) 
.
আল্লাহর কাছে স্ত্রীকে চোখের শীতলতা বানানোর জন্য দোয়া করুন।
.
‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন’।(সুরা আল ফুরকান-৭৪)
.

কিন্তু ভুলেও এই ফেতনায় পা দিবেন না যে :- অনেক স্ত্রী তো দ্বীন পালনে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে- এর মানে বিয়ে না করাই উত্তম।
.
রাসুল স: এর এই হাদিসের দিকে লক্ষ করুন; যখন কিছু সাহাবী (রা:) বিয়ে না করে সারা দিন ইবাদত করার পরামর্শ করেছিলেন তখন  রাসুল (স:) বলেছিলেন:“তোমরা কি ঐ সব লোক যারা এমন এমন কথাবার্তা বলেছ? আল্লাহ্‌র কসম! আমি আল্লাহ্‌কে তোমাদের চেয়ে বেশি ভয় করি এবং তোমাদের চেয়ে তাঁর প্রতি বেশি অনুগত; অথচ আমি সওম পালন করি, আবার তা থেকে বিরতও থাকি। সলাত আদায় করি এবং নিদ্রা যাই ও মেয়েদেরকে বিয়েও করি।  সুতরাং যারা আমার সুন্নাতের প্রতি বিরাগ পোষণ করবে, তারা আমার দলভুক্ত নয়। 
.
 [মুসলিম ১৬/১, হাঃ ১৪০১, আহমাদ ১৩৫৩৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৯০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৯৩)]
.
.
❤ বিয়ে :অর্ধেক দ্বীন [#BiyeordhekdeenBn]
.
ইনশাআল্লাহ বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

No comments

Powered by Blogger.