বাচ্চাকে ভিটামিন 'এ' খাওয়াবেন কি না?
বাচ্চাকে যারা ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা চিন্তা করছেন, তারা সেটি খাওয়ানোর আগে একবারের জন্য হলেও ভেবে নেবেন।
এ বিষয়টা নিয়ে অনেক আগেই যখন আঁচ করতে পেরেছিলাম। তখন এ ব্যাপারে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের সাথেও আলাপ করি। নিজেও একটু ঘাটাঘাটি শুরু করি। যার ফলে যা জানতে পেরেছি এবং বুঝতে পরেছি তা যে কারো বিশ্বাস করতেও কষ্ট হবে !
মানুষ এমনিতেও অন্ধবিশ্বাসের মত ছুটে। মিডিয়া যা খাওয়ায় তাই হা করে গিলে। প্রায় ক্ষেত্রেই বিষয়টা নিয়ে একটু ভেবেও দেখে না। এই বিষয়টাও হচ্ছে তেমনই। এতদিন ধরে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা' বা WHO কে মানুষ অন্ধের মত বিশ্বাস করে এসেছে। কিন্তু এই 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'কেও যে প্রভাবিত করা যায়, অর্থ দিয়ে কেনা যায়, সেটা হয়ত অনেক সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, অনেক শিক্ষিত মানুষও জানে না। এর প্রমাণটা পরে দিচ্ছি। তার আগে কয়েকটা বিষয় ক্লিয়ার হওয়া দরকার।
বলুন তো, আপনি আপনার বাচ্চাটাকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল কেন খাওয়াবেন? যদি এই প্রশ্নের উত্তরটা না-জেনে থাকেন তাহলে আগে এর উত্তরটা জানার চেষ্টা করুন। তবে মিডিয়া যেভাবে আপনাকে বিষয়টা খাওয়ায় সেভাবে না; আরেকটু গভীরভাবে জানার চেষ্টা করুন! উত্তরটা না-পেলে এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ কারো কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন।
তবে এখানেও একটু সাবধান থাকতে হবে। কারণ, আজকাল অনেক ডাক্তারও কিন্তু নিজিদের বিকিয়ে দিয়েছে। টাকার কাছে আজ অনেকেই বিক্রিত। এদের মধ্যে সেলিব্রেটি ডাক্তাররাই বেশি। যেখানে 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র মত প্রতিষ্ঠানকে কেনা যায় সেখানে একজন ডাক্তারকে কেনা বা জিম্মি করে তার কাছ থেকে ফায়দা নেয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। এসব বুঝতে হলে বিশ্বের পরিস্থিতি সম্পর্কেও একটু খোঁজ-খবর রাখতে হবে! তবে সেই সাথে এ কথাটাও মনে রাখতে হবে যে, সব ডাক্তারই এমন তা কিন্তু নয়। খারাপদের ভীড়েও দেশে অনেক ভাল ডাক্তারও আছেন। তবে তাদের সংখ্যাটা কম এবং তাদেরকর খুঁজে নিতে হবে আপনাকেই! আপনার বুদ্ধিমত্তা দিয়েই!
এরপর সেই ডাক্তারের পরামর্শ নেবার পর নিজে একটু খোঁজ-খবর নেবার চেষ্টা করুন। বিশ্বস্ত কিছু ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে গিয়ে এ সম্পর্কিত আর্টিকেলগুলো পড়ুন। ভালটাও পড়ুন, মন্দটাও পড়ুন! সেখান থেকে তথ্য কালেক্ট করার পরে বর্তমানে আমাদের শিশুদেরকে যে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে সেটার সাথে মিলিয়ে দেখুুন। আপনি একটু জানাশোনা কেউ হলে নিশ্চিত করে বলতে পারি, এরপর সাথে-সাথে আঁৎকে উঠবেন! আপনার নিজেরই বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে! ভাবতে বাধ্য হবেন, এমন করেও কেউ জীবন নিয়ে খেলতে পারে!?
'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র ওয়েবসাইটে দেয়া আছে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী বাচ্চাদের ডোজের পরিমাণ 100 000 আইইউ (IU); এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী বাচ্চাদের জন্য ডোজের পরিমাণ 200 000 আইইউ (IU)। কিন্তু WHO বা 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র এহেন কারচুপরি বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছেন সংষ্লিষ্ঠ বিষয়ে অনেক বিশেষজ্ঞরা ! কিছু ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে এসব নিয়ে প্রতিবেদন/আর্টিকেলও এসেছে! তাদের কেউ-কেউ এটাও বলেছেন- একটা বাচ্চার জন্য সর্বোচ্চ ৪ হাজার আইইউ এবং বাচ্চা একটু বড় হলে তার জন্য সর্বোচ্চ ২৫ হাজার আইইউ পর্যন্ত নেবার ক্ষমতা থাকে। এর বেশি নেওয়া একটা বাচ্চার শরীরের জন্য মারাত্মক রকমের ক্ষতিকর! কিন্তু সাম্রাজ্যবাদীদের কালো থাবায় একটা সময়ে এসে সেই প্রতিবেদন/আর্টিকেলগুলোও মুছে দিতে বাধ্য হয় জার্নালের সাথে সংশ্লিষ্ঠরা ! এখানে যদি WHO বা 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা' নিজেদেরকে সঠিকই মনে করত তাহলে এমন বলপ্রয়োগ করে, চাপ প্রয়োগ করে সেই গবেষণাটুকু মুছে দিতে বাধ্য করল কেন?
ছোট-ছোট বাচ্চাদেরকে ওভারডোজের মাধ্যমে, সাম্রাজ্যবাদীরা নিজের পকেটের টাকা খরচ করে, কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিনা পয়সায় এত সেবা দিচ্ছে, আপনার বাচ্চাটাসহ আপনাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে এত যত্ন করে ভিটামিন খাওয়াচ্ছে, মিডিয়া দিয়ে আপনার ব্রেনওয়াশ করে নিচ্ছে, এর কারণগুলো নিয়ে একটিবারের জন্যও কখনো ভেবে দেখেছেন? জানার চেষ্টা করেছেন, যে সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের অস্বিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য হাজার-হাজার নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে মেরে ফেলতেও এতটুকু ভাবে না, সেখানে তারা নিজের ঘাটের পয়সা খরচ করে হঠাৎ এত দরদী হয়ে উঠে কেন!?
ফার্মাসিউটিক্যাল বিজনেস নিয়ে যাদের নূন্যতম ধারণা আছে তারা হিসেবটা সহজেই বুঝে নিতে পারবেন। এটা শুধু একটা সিনট্রম। কারণ আরও বহু আছে। একটা জাতিকে ধ্বংস বা অথর্ব করে দেয়ার মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে সাম্রাজ্যবাদীরা ধীরে-ধীরে ঠিকই অগ্রসর হচ্ছে। ওরা ওটা-সেটার উপকারিতা বলে (তার বেশিরভাগই অপকারিতা) খুব সুক্ষ্মভাবে মানুষের ব্রেনওয়াশ করে নিচ্ছে, যা অনেকে বুঝেও উঠতে পারছে না। যখন বুঝবে, তখন হা-হুতাশ করা ছাড়া কিছুুই করার থাকবে না !
অতিরিক্ত ভিটামিন শরীরের মধ্যে নানারকম বিষক্রিয়া তৈরী করে, যাকে বলে 'হাইপারভিটামিনোসিস'। এই বিষক্রিয়ার ফলে –
১। শিশুদের করোটির হাঁড় অস্বাভাবিক দুর্বল হয়ে যায় ।
২। দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় ।
৩। মাথা ঝিমঝিম করে।
৪। লিভার নষ্ট হয়ে যায়।
৫। শরীরের ওজন কমে যায়।
৬। ঘুম ঘুম ভাব বেড়ে যায়।
৭। ক্ষুধা কমে যায়।
৮। হাঁড়ে ব্যথা হয়
৯। মাথা ব্যথা করে
১০। আক্রান্ত ব্যক্তি দ্রুত রেগে যায়।
১১। চুল পড়ে যায়।
১২। হৃদপিণ্ডের কপাটিকা শক্ত হয়ে যায় ।
১৩। কেউ কেউ কোমাতেও চলে যায়।
এরকম আরো বহুবিদ প্রাণঘাতি সমস্যার সম্মুখিন হতে হয়! যে বাচ্চাটার শরীরে অতিরিক্ত ভিটামিন 'এ' এর ঘাটতি আছে তাকে না হয় সে ঘাটতি পূরণ করে দেয়া যায় ; কিন্তু যে বাচ্চাটার শরীরে এরকম কোনো ঘাটতি নেই সেইসব বাচ্চাদের ওভারডোজ দেয়া হয় কিসের উপর ভিত্তি করে? এসব নিয়ে স্বয়ং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও পরিষ্কার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
তারা যদি এই ছোট-ছোট বাচ্চাগুলোর সত্যিকার অর্থেই ভাল চাইত, তাহলে অন্তত একটা বাচ্চাকে এরকম ক্যাপসুল খাওয়ানোর আগে অবশ্যই একবার হলেও বাচ্চাটিকে মেডিকেল চেকআপ করিয়ে নিত। বাচ্চাটির মধ্যে আসলেই ভিটামিনের ঘাটতি আছে কি না তা চেক করে নিত। সেটা না করে পাইকারিহারে বাচ্চাদের ভিটামি 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে কিসের ওপর ভিত্তি করে !? এর উত্তর আজও অজানা! কারণটাও কিন্তু এখনো ধোঁয়াশাই রয়ে গেছে! তাহলে এরা কাকে সচেতন করছে? কোন প্ল্যান নিয়ে আগাচ্ছে? বিষয়টা খুব ভাল করে ভেবে দেখা দরকার !
আমরা আমাদের বাচ্চাটিকে ওষুধ খাওয়াাচ্ছি একটা সুস্থ-সবল প্রজন্ম পাওয়ার জন্য; এই ওষুধ খাওয়ানোর ফলে, হাইপারভিটামিনোসিসের কারণে একটা বাচ্চার যদি শারীরিক কোনো সমস্যা হয়, বাচ্চাটি শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে এর দায়ভার কে নেবে? দেশের অনেক জায়গা থেকে অনেকেই তাদের সন্তানদের নিয়ে এমন সমস্যার কথা বলেছেন।
গত বছরই জামালপুরে এরকম একটি ঘটনা ঘটে। ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ার পর জামালপুরে ১জন শিশু নিহত হয়; সাথে অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রায় ৫শ’-এর মত শিশু! এরকম আরো বহু ঘটনাই দেশের আনাচে-কানাচে ঘটছে। যার সবটা হয়ত মিডিয়াতেও আসে না। কারণ, মিডিয়ার অনেব বড় একটা অংশই বিকিয়ে গেছে! কিন্তু জামালপুরের ঐ ঘটনাকেও মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য উঠেপড়ে লাগে একটি মহল! কিন্তু সেটা পরে সত্য বলেই প্রমাণ হয় !
গত বছরই এ ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াতে গিয়ে, ইন্ডিয়া থেকে ভেজাল এই ক্যপসুল আমদানি করার ফলে, এ ক্যাপসুল খেয়ে সারা দেশের অনেক জায়গাতে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। জানেন সেসব ঘটনা ?! বাদবাকি ঘটনা বাদই দিলাম!
লেখার এক জায়গাতে একটা প্রমাণ দেব বলেছিলাম। সেটা ভাল করে খেয়াল করবেন। সম্প্রতি আমেরিকাতে একটি আলোচিত ঘটনা ঘটেছে। যা ‘পারডিউ ফার্মার অপিওয়েড কেলেঙ্কারী’ নামে মিডিয়াতেও আসে। এই 'অপিওয়েডটা কি জানেন? এটা হচ্ছে এমন একটি ওষুধ যা হেরোইন বা মরফিনের মত কাজ করে! ওষুধটি মূলত: মৃত্যু পথযাত্রীদের ব্যাথ্যা নিরাময়ের কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু 'পারডিউ ফার্মা' এ ওষুধটিকে এমন করে উপস্থাপন করে, সাধারণ মানুষকে সুকৌশলে বুঝাতে সক্ষম হয় যে, এ ওষুধটি শুধু বিশেষ কোনো সময়ের ব্যথা নিরাময়েই ব্যবহৃত হয় না, বরং সাধারণ যে কোনো ধরণের ব্যথা নিরাময়েও এটি ব্যবহার করা যায়! যার ফলে হঠাৎ করেই হু হু করে সেই ওষুধটির বিক্রি বেড়ে যায়! এতে করে সেই কোম্পানির মালিকপক্ষ সেই একটা ওষুধ বিক্রি করেই রাতারাতি বিশ্বের ধনীদের কাতারে চলে আসে!?
কিন্তু এই ওষুধে আক্রান্ত হয়েই অনেক মানুষ মারা যায়! যার কারণে স্বয়ং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ওষুধ এবং এর মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা হয়। এক সময় বাধ্য হয়ে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে মার্কিন কংগ্রেস। তাদের সেই তদন্তের ফলাফল কি ছিল জানে? কোম্পানির সেই ওষুধের বিক্রি বাড়াতে কোম্পানির মালিকপক্ষ (একটি ইহুদি পরিবার) 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'কে প্রভাবিত করে, তাদেরকে গোপনে অর্থায়ন করে! এমনকি 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র অনেক ডাক্তারদেরকেও অর্থের লোভ দেখিয়ে তাদের পক্ষে নিয়ে নেয়! আর এই কোম্পানির মালিকপক্ষও 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র নাম ভাঙ্গিয়ে এরকম একটি মারাত্মক জীবননাশক ওষুধকে বিক্রি করে রাতারাতি ধনীদের কাতারে চলে আসে! সাধারণ জনতাও 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা'র নাম দেখেই আগপিছ না ভেবেই অন্ধবিশ্বাসের মত ওষুধটি খেতে থাকে! যার ফলে অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে, যা আগেই বলেছি !
তাই এখন যারা ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাপসুলের নাম শুনেই আপনার নিজের বাচ্চাটিকে সেটি খাওয়ানোর জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠছেন, তারা তার আগে একটু হলেও ভেবে নেবেন। খোঁজ নিলে হয়ত এ তথ্যটাও বেরিয়ে আসবে যে, যারাই নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে বিনা পয়সায় বাচ্চাদের এ ক্যাপসুলটি খাওয়াচ্ছে, বছর কয়েক পরে এই ওষুধের কারণেই যখন বাচ্চাগুলো বিভিন্ন রকমের মারাত্মক সমস্যার সম্মুখিন হবে, তখন সেই সাম্রাজ্যবাদীরাই আবার এসব অসুখের এন্ডিডোট নিয়ে এই দেশে ঢুকবে। বিজনেস ওয়ার্ল্ড আজ এভাবেই চলছে !
এটাই হল বিজনেসের মূল পলিসিগুলোর একটা। ওরা নিজেরাই সমস্যা ক্রিয়েট করবে, আবার নিজেরাই তাদের ব্যবসায়িকস্বার্থে এর সমাধানে এগিয়ে আসবে। এরমধ্যে ক্ষতি যা হবে সেটা আপনার আমার, আমাদের মত সাধারণ জনগণের; মাঝখান থেকে ফায়দা লুটে নেবে ঐসব সাম্রাজ্যবাদীরা ! এদের কাছে সাধারণ জনগণের জীবনের মূল্য একেবারেই তুচ্ছ; টাকা, ক্ষমতা, পাওয়ার এসবই তাদের কাছে মুখ্য! এটাই হচ্ছে সুক্ষ্ম চালের খেলা!?
#একটু_সতর্কতা : আমি কোনো ডাক্তার বা এ ব্যাপারে কোনো বিশেষজ্ঞ কেউ নই। তবে কিছু বিষয় বুঝতে হলে শুধু ঐ লাইনেই পড়াশোনা করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। সাধারণ কিছু বিষয় বুঝতে হলে বিশ্ব-পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছুটা খোঁজ-খবর এবং একটা বিষয় অ্যানালাইসিস করার ক্ষমতা থাকলেই অনেক সত্য জানা সম্ভব। এজন্য পড়াশোনা, জানাশোনা, একটা বিষয় পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা এবং পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।
তবে লেখাটা লিখতে গিয়ে ওভার কনফার্মেশনের জন্য কয়েকজন পরিচিত এবং বিশ্বস্ত ডাক্তারদের সাথেও কথা বলেছি। তবে তারাও যে কোনো এক অজ্ঞাত কারণে তাদের নাম প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন! বুঝতে পারলাম সমস্যাটা আসলে কতটা প্রকট। তারা সত্যটা জানার পরও সেটা বলতে ভয় পাচ্ছেন! সব জেনেও মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না! ভাবা যায় ?! আর মিডিয়া তো বিক্রি হয়ে গেছে অনেক আগেই। তাই উপরে যে সিনট্রমগুলোর কথা বলেছি, লেখাতে কিছু কারণ দেখিয়েছি, সেগুলো নিজের মাথা খাটিয়ে একটু বুঝার চেষ্টা করুন। স্টাডি করুন। তখন নিজেই বুঝবেন একটা প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেবার কত সুন্দর প্ল্যান চলছে!
আর যদি এসব নিয়ে কারো কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে এ লেখাটি সরাসরি এড়িয়ে যান। আপনার যা ইচ্ছে করতে পারেন। অযথা পণ্ডিতি দেখাতে আসবেন না ! কুতর্ক না-করে আপনি নিজেও ভাল থাকুন, অন্যকেও ভাল রাখুন। তারপরও নিচে কয়েকটা লিংক দিলাম। সময় করে পড়ে নেবেন।
No comments