Header Ads

Header ADS

আলহামদুলিল্লাহ, মাশাআল্লাহ কখন কোথায় বলা উচিৎ

দ্যাখেন ভাই! অন্তত ‘মাশাআল্লাহ’ বইলেন না। অন্য যেভাবে মোটিভেশন দিতে ইচ্ছে হয়, সেভাবেই দিন। অন্য যেভাবে ইনস্পায়ার করতে ইচ্ছে হয়, সেভাবেই করুন। তবু ওসব কাজের জন্য ‘মাশা-আল্লাহ’, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এগুলো বইলেন না। আমাদেরও শুনতে খারাপ লাগে, আর আপনি নিজেও মারাত্মক গুণাহগার হন।

মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে ‘মাশা-আল্লাহ’ এবং ‘আলহামদুলিলাহ’ সম্পর্কে একটু ব্যাসিক ধারণা দিই।

‘আলহামদুলিল্লাহ’ অর্থ— সকল প্রসংশা আল্লাহর জন্য।

অর্থাৎ, ভাল কিছু করা, পারা, থাকা কিংবা ভাল অবস্থা বুঝাতে আলহামদুলিল্লাহ বলা হয় এবং এটা বলে আল্লাহর কাছে ‘কৃতজ্ঞতা’ জ্ঞাপন করা হয়, আল্লাহর নিয়ামতের ‘শুকরিয়া’ আদায় করা হয়।

যেমন— আপনি ভাল চাকরি পেয়েছেন, তাই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাতে আলহামদুলিল্লাহ বলবেন। কেউ জিজ্ঞাসা করলে বলবেন, “আলহামদুলিল্লাহ, আমি চাকরি পেয়েছি”।

আপনি পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করেছেন, বলবেন আলহামদুলিল্লাহ। আপনার কোনো আত্মীয়ের সুস্থ-সবল সন্তান জন্ম নিয়েছে, বলবেন আলহামদুলিল্লাহ। আপনি কাউকে কিছু দান করলেন, তাও বলবেন আলহামদুলিল্লাহ।

এখন প্রশ্ন করতে পারেন, নিজে-নিজেই সব কাজ করে কেন আমি আল্লাহর প্রসংশা করবো? কেন আমি আলহামদুলিল্লাহ বলবো?

উত্তর হচ্ছে— আল্লাহ আপনাকে কাজ করার সামর্থ্য দিয়েছেন। অর্থাৎ, শারীরিক, মানসিক, আত্মিক, আর্থিক তথা সার্বিক সামর্থ্য দিয়েছেন, এবং এগুলো আল্লাহর নিয়ামত। শুধু তাই নয়, আল্লাহ আপনাকে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন, বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন এবং বলেছেন ভালো কাজ করতে। এখন আপনি যদি আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত ব্যবহার করে ভালো কাজ করতে পারেন, তাহলে সেই নিয়ামতের জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ দিতে হবে। আর এই ধন্যবাদ দেওয়ার জন্যই ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলবেন।

এখন যদি আপনি কাউকে খুন করতে চান এবং সফল হন, তাহলেও কি এই কাজটা সম্পন্ন করতে পারায় আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলবেন?

উত্তর হচ্ছে— না, বলবেন না। কারণ, আল্লাহ আপনাকে সামর্থ্য দিয়েছেন, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন, বিবেক দিয়েছেন, এবং ভালো কাজ করতে বলেছেন। এখন, আপনি নিজের ‘বিবেক’ খাটিয়ে একটা খারাপ কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলেন, সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ‘ইচ্ছাশক্তির’ প্রয়োগ ঘটালেন এবং নিজের ‘সামর্থ্য’ দ্বারা কাজটি সম্পন্ন করলেন। কিন্তু আল্লাহ আপনাকে খারাপ কাজ করতে বলেননি, কিংবা খারাপ কাজে ‘সাহায্য’ করার জন্যও আপনাকে এতসব নিয়ামত দেন নি। সুতরাং, আপনি যে খারাপ কাজটি করলেন তার পুরো দায়ভার আপনার নিজের। এহেন কাজ সম্পাদনের পিছে আল্লাহর কোনো ক্রেডিট নেই, এবং আল্লাহর কোনো দোষও নেই।

সুতরাং, আমরা যেটা বুঝলাম— নিজে কোনো খারাপ কাজ করতে ‘সফল’ হলে আলহামদুলিল্লাহ বলা যাবে না, কাউকে কোনো খারাপ কাজে সফল হতে দেখলেও আলহামদুলিল্লাহ বলা যাবে না।

‘মাশাআল্লাহ’ অর্থ— আল্লাহ যেমনটি চেয়েছেন।

যেমন— আল্লাহ তার বান্দাকে বলেছেন নামাজ পড়তে। আপনি নামাজ পড়েন; এটা আপনার বাবা গ্রামে গিয়ে সবার কাছে গল্প করে বেড়ায়, “ছেলেটা শহরে থেকেও, কাজকামে ব্যস্ত থেকেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে”। এটা শুনে মুরুব্বিরা খুশি হয়ে বললেন ‘মাশাআল্লাহ’। অর্থাৎ, আল্লাহ যেমনটা চেয়েছেন, তেমনটাই হয়েছে।

আবার, একটা বালক মসজিদে বসে মধুর সুরে কুরআন তিলাওয়াত করছে। পাশে বসে থাকা মুসল্লি সেটা শুনে বললো, “বাহ! তোমার কণ্ঠ তো মাশাআল্লাহ”। তার তিলাওয়াত (বা, কণ্ঠ) মাশাআল্লাহ বলার কারণ, আল্লাহ নিজেই চেয়েছেন তার বান্দারা সুস্পষ্টভাবে, ধীরেধীরে, সুললিত কণ্ঠে তার বাণী পাঠ করুক। ছেলেটা তেমনই করেছে, তাই ‘আল্লাহ যেমনটা চেয়েছেন’ তথা মাশাআল্লাহ বলে অভিবাদন জানানো যথার্থ হয়েছে।

‘আলহামদুলিল্লাহ’ এবং ‘মাশাআল্লাহ’ এর প্রয়োগ সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়; বরং এগুলোর অপব্যবহার নিয়ে একটু আলোচনা করবো।

দেশের ভার্সিটিসমূহে বছরজুড়ে সাংস্কৃতিক পালাপার্বন তো লেগেই থাকে। নাচ-গান, পার্টি-শার্টি, উদুম-বুদুম লম্পঝম্প, সবমিলিয়ে লাইফটাকে ‘এনজয়’ করার যাবতীয় কার্যকলাপের সুষম সংমিশ্রণে মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাসের রাতগুলো। ছেলে-মেয়ে এক হয়ে, কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে, পিঠে পিট ঠেকিয়ে জীবনকে ‘উপভোগ’ করার এইযে সহজলভ্য, প্রগতিপন্থী, সুশীলমনা ট্রেন্ড; এর তুলনা কোথায়!!

কোনো একটা ইস্যু নিয়ে কালচারাল-ফেস্ট (ফ্ল্যাশ মোব, ক্যাম্পফায়ার, ডিপার্টমেন্টাল নাইট, র‍্যাগ কন্সার্ট) হয়, তারপর সেখানকার প্রোগ্রামসমূহের ধারণকৃত ভিডিওগুলো খুব সুন্দরভাবে এডিট করে আপ্লোড দেওয়া হয় ইউটিউবে। পার্টিসিপ্যান্টরা সেসকল ভিডিও নিজনিজ টাইমলাইনে শেয়ার দেয়, অতঃপর শুরু হয়ে যায় প্রশংসার ঝড়, লাইক-কমেন্টের সুনামি।

গুড উইশ, বেটার উইশ, বেস্ট উইশ, কনগ্রাস্ট, কিপ-ইট-আপ, ওহ জোসসস, অসাম দোস্তো, সেইইই হইছে, উফফ কুউল, ফাটাফাটি গাইছোস রে জুনিয়র, ভাই তো পুরা স্টেজ কাঁপায় দিলেন...... প্রশংসা চলতে থাকে, চলতে থাকুক!

কিন্তু!! এমনও কিছু ‘ভদ্রলোক’ আছে, যারা কমেন্টবক্সে এসে ‘মাশাআল্লাহ’ এবং ‘আলহামদুলিল্লাহ’ লিখে কমেন্ট করে।

অনেকে আছে— অবসরে করার মত কিছুই খুঁজে না পেয়ে গীটার বাজায়। সেটা আবার ভিডিও করে ফেসবুকে আপ্লোড দেয়। তাদের ‘দক্ষ হাতের’ গীটার বাজানো দেখে অনেকে এতই রোমাঞ্চিত, শিহরিত, পুলকিত, প্রকম্পিত, উদ্বেলিত, আবেগে আপ্লুত ও অত্যধিক উত্তেজিত হয়ে পড়ে যে, লাভ-রিয়েক্টও দেয়, কমেন্টবক্সে এসেও বেনীআসহকলা লাভ-লাভ-লাভ-লাভ দিয়ে ভাসিয়ে দেয়।

সেখানকার কমেন্টবক্সেও কিছু ভদ্রলোকের দেখা মেলে যারা এসে কমেন্ট করে— ‘মাশাআল্লাহ, ভালোই তো বাজাতে পারিস। চালায় যা!’

অনেকে আছে, কোনো এক ‘মহান’ শিল্পীর ‘অতিবিখ্যাত’ কোনো গান কভার করে, সেটা ভিডিও করে ফেসবুকে আপ্লোড দিবে। কেউকেউ এ-ও বলে বসবে, “সম্পূর্ণ গানটি শুনবেন, প্লিজ প্লিজ প্লিজ”। কেউকেউ আবার বলবে, “অনেকদিন পর একটু চেষ্টা করলাম, ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন”।

কি অদ্ভুত ব্যাপার! কেউ একটা হারাম কাজ করছে, সেটা আবার ভিডিও করে সারা দুনিয়ার মানুষকে দেখাচ্ছে; নিজেও গুণাহগার হচ্ছে, অন্যকেও গুণাহগার বানাচ্ছে, আবার বলছে— ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। কি আবদার!!

হ্যাঁ, পাবলিক ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে তো দেখেই, সেই সাথে কমেন্টবক্সেও প্রশংসার বন্যা বইয়ে দেয়। এবং যথারীতি সেখানেও কিছু ‘ভদ্রলোক’ এসে কমেন্ট করে— মাশাল্লাহ, ভালো গাইছো। দোয়া করি, আরও বড় হও।

যেসকল ভদ্রলোকেরা কারও আপ্লোড দেওয়া নাচ-গানের কমেন্ট বক্সে গিয়ে ‘মাশাআল্লাহ’ লেখেন, তারা হয়ত ভাবেন যে এটা বললে ছেলেটা বা মেয়েটা (যে আপ্লোড দিছে) সে ইনস্পায়ার্ড হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এমন কমেন্ট করার দ্বারা তিনি নিজেই মারাত্মক রকমের অপরাধ করে ফেলেন।

প্রথমত, নাচ দেখার জন্য বা গান শোনার জন্য নিজে গুণাহগার হন।

দ্বিতীয়ত, নাচ-গান আপ্লোড-কারীকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য, অর্থাৎ একটা হারাম কাজকে সমর্থন ও বেগবান করার জন্য গুণাহগার হন।

তৃতীয়ত, না বুঝে আল্লাহকে অপবাদ দেওয়া জন্য গুণাহগার হন। হারাম গান আপ্লোড দেওয়া গায়কের কণ্ঠের প্রশংসা করতে গিয়ে তারা যখন ‘মাশাআল্লাহ’ বলে তখন বুঝানো হয়— আল্লাহ এমনটিই চেয়েছেন যে, মানুষ সুন্দর কন্ঠে গান গেয়ে আপ্লোড দিক। নাউযুবিল্লাহ! অথচ আল্লাহ এগুলো হারাম করে দিয়েছেন। তাহলে, তাদের এসকল কমেন্ট (প্রশংসা) দ্বারা কি আল্লাহকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে না? অবশ্যই, এবং আল্লাহ এতে চরম অসন্তুষ্ট হন।

অনেককে দেখি নাচ আপ্লোড দিয়ে ক্যাপশন দেয়— অনেকদিন ধরে এই ড্যান্সটা কভার করার চেষ্টা করছিলাম; এতদিন পর সফল হলাম, আলহামদুলিল্লাহ। দুআ করবেন যেন আরেকটু ইমপ্রুভ করতে পারি।

কি তাজ্জব ব্যপার! সে করলো একটা হারাম কাজ। আর বলে কিনা, এই হারাম কাজ করতে পারার জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ! সকল প্রশংসা আল্লাহর। আরও নাকি তার জন্য দুয়া করতে হবে!!

এগুলো কোন ধরণের ফাইজলামি ভাই?

প্রথম কথা আপনি নিজে হারামে লিপ্ত, নিজে গুণাহ করছেন। দ্বিতীয় কথা, সেই গুণাহগুলোকে আবার মানুষের সামনে দেখাতে নিয়ে আসছেন; তারাও দেখছে, গুণাহগার হচ্ছে; শেয়ার দিচ্ছে, অন্যকে দেখাচ্ছে, অন্যকেও গুণাহগার বানাচ্ছে। কেন ভাই? কেন?? নিজে গুণাহ করছেন, তাই-ই করেন না! সেটা আর দশটা মানুষের সামনে এনে তাদেরকেও কেন গুণাহগার বানাচ্ছেন? একটু ভেবে দেখুন না ভাই, পরকালে আল্লাহর সামনে কী জবাব দিবেন?

আর এই যে যারা আজকে আপনাকে বাহবা দিচ্ছে, আপনার গুনাহগুলোকে সাপোর্ট করছে, আপনাকে আরও বেশি গুণাহ করতে উৎসাহ দিচ্ছে; কিয়ামতের দিন এরা কেউই আপনার গুণাহের ভার শেয়ার করতে আসবে না। আজ যারা আপনাকে খুব ভালবাসছে, সেদিন তারা আপনাকে চিনবেই না। আপনি মারা গেলে তারা বলবে, “ওপারে ভাল থাকবেন ভাই”। কিন্তু এরাই যে আপনার ওপারটাকে নষ্ট করে দিয়েছে, তা এরাও জানে না, আপনিও মিয়া হতভাগা, মরার আগে বুঝতে পারলেন না! মরে যাওয়ার পরে “ওপারে ভাল থেকো” সবাই-ই বলে, কিন্তু ওপারে ভাল থাকার জন্য এপারে কী করে যেতে হয়, তা কেউ বলে না। গলিত গরম সীসা কানে ঢেলে দেওয়ার মত শাস্তিযন্ত্রনা সহ্য করার মত সাধ্য যদি আপনার থাকে, তবে আপনি শুনুন, গান শুনুন, শুনে যান যত মন চায়।

বান্দা মাত্রেই গুণাহগার। গুণাহ সবাই-ই কমবেশি করে। এমন কোনো মানুষ নেই যে গুণাহ করে না। তবে, কেউ তার গুণাহকে ঢেকে রাখে, আর কেউ তার গুণাহকে প্রকাশ করে দেয়। তারটা দেখে আরও অনেকে সেই গুণাহের প্রতি উৎসাহিত হয়। কেন ভাই? নিজে অশ্লীল জিনিস দেখছ, খারাপ কাজ করছো, করো নিজের মত। অন্য মানুষগুলোর কাছে শেয়ার করে তাদেরকেও নষ্ট করার কী দরকার? গুণাহ যত বেশি প্রকাশিত হবে, তত বেশি অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়বে। আর তাতে বাধা না দিলে তা সমাজে প্রতিষ্ঠিত (ট্রেন্ড) হয়ে যাবে।

আমাদের অনেক ভায়েরা-আপুরা আছেন, যারা ভার্সিটির কালচারাল ফেস্টে অ্যাটেন্ড করার জন্য জুনিয়রদেরকে পীড়াপীড়ি করেন। না!! এমনটা করবেন না। নিজে তো গুণাহ করছেনই, অন্যকেও তাতে ‘বাধ্য’ করছেন। নিজে তো অশ্লীলতায় ডুবে আছেনই, অন্যের মাঝেও অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। আর আপনাদের এমন অপকর্ম সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য আল্লাহ বলেছেন,

“যারা চায় যে মুসলমানদের মধ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ুক, তাদের জন্য দুনিয়াতে রয়েছে ভয়ংকর শাস্তি ও আখিরাতে রয়েছে ভয়ংকর যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি” [সূরা আন নূর, আয়াত-১৯]

দেখেছেন? শাস্তি শুধু আখিরাতে না, দুনিয়ায়ও আছে। দুনিয়ার শাস্তিকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলা হচ্ছে, আর আখিরাতের শাস্তিকে বলা হচ্ছে ‘ভয়ঙ্কর যন্ত্রনাদায়ক’। এতবড় থ্রেট দেওয়ার পরও দেখা যায় আমরা আল্লাহর কথাকে ‘খুউউউউবই তুচ্ছ’ জ্ঞান করি। নিজেদের দুনিয়াবী ভোগবিলাসকেই প্রাধাণ্য দিতে থাকি। একজন মুসলিম হয়েও, স্রষ্টার অস্তিত্ব মেনে এবং তার বিধানাদি জেনেও আমরা আমাদের মহান স্রষ্টার কথার ধার দিয়েও হাটি না। একের পর এক অবাধ্যতায় লিপ্ত হচ্ছি, একের পর এক আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করেই যাচ্ছি। এই খাপছাড়া লাগামহীন জীবন আর কতকাল ভাই? একজন অবিশ্বাসী কিংবা একজন অমুসলিমের জন্য আল্লাহর আবাধ্যতা করাটা স্বাভাবিক, কিন্তু একজন মুসলিম হিসেবে কিভাবে আপনি আপনার স্রষ্টার আদেশ ‘নিয়মিত’ অবহেলা করে যান? এখনও কি সময় হয়নি উপলব্ধি করার? আর কতকাল আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে যাবেন ভাই?

আমাদের জানা উচিত—

১. আল্লাহ যা অবৈধ ঘোষণা করে দিয়েছেন (নাচ-গান-বাদ্যযন্ত্র) তা বৈধ মনে করা কুফরি; এতে ব্যক্তি কাফের হয়ে যায়।

২. গুণাহ সবাই-ই কমবেশি করে, তবে যারা গুণাহ প্রকাশ করে দেয় তারা গুণাহে জারিয়ার চেইন-রিঅ্যাকশনে পড়ে যায়। আর এটা যে কত ভয়ংকর ব্যপার সেটা ‘গুণাহে জারিয়া’ লেখাটায় বর্ণনা করেছি।

৩. অশ্লীলতা এবং কুকর্ম দেখে বাধা না দিলে তা সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। অথচ, আমরা এগুলো প্রোমোট করি!

আমরা চেষ্টা করবো এসব অপকর্ম থেকে দূরে থাকতে; আল্লাহ তাওফিক দান করুন।

No comments

Powered by Blogger.