স্বামীর উপর স্ত্রীর হকসমূহ
স্বামীর ওপর স্ত্রীর হকসমূহ -
১. স্ত্রীর সাথে সর্বদা ভালো আচরণ করা।
২. স্ত্রীর কোনো কথায় বা কাজে কষ্ট পেলে ধৈর্যধারণ করা।
.
৩. স্ত্রী আচরণগতভাবে উচ্ছৃঙ্খল হলে বা বেপর্দা চলাফেরা করতে থাকলে ঠান্ডা মাথায়, সুমিষ্ট ভাষায় তাকে বোঝানো। চিৎকার-চেঁচামেচি না করা। স্ত্রী যদি অবাধ্য হয়, তাহলে স্বামী তাকে শাসন করতে পারবেন। তবে এই শাসনটি হওয়া চাই প্রজ্ঞাপূর্ণ উপায়ে। খুব বেশি কঠোরভাবে শাসন না করাই শ্রেয়। কেননা এতে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
.
৪. কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া-বিবাদ না করা। কথায় কথায় ধমক না দেওয়া। রাগ না করা। নিজের কর্তৃত্বের কথা বলে খোঁটা না দেওয়া।
.
৫. স্ত্রীর আত্মমর্যাদায় আঘাত করে এমন বিষয়ে সংযত থাকা। শুধু শুধু স্ত্রীর প্রতি কুধারণা না করা।
৬. স্ত্রীর বিষয়ে কিংবা তার কোন প্রয়োজন ও চাহিদার বিষয়ে স্বামীর উদাসীন হওয়া উচিত নয়।
৭. সামর্থ্যানুযায়ী স্ত্রীর আর্থিক খরচ প্রদান করা। অপচয় না করা।
.
৮. নামাজ পড়া এবং ইসলামের অন্যান্য ফরজ আদেশগুলো মেনে চলতে উৎসাহ দেওয়া। বাসায় ইসলামের অনুশীলন করার মতো অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখা।
.
৯. স্ত্রীকে নারীদের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় মাসয়ালা-মাসায়েলগুলো ভালোভাবে শিক্ষা দেওয়া এবং এগুলো অনুশীলনে সহায়তা করে।
.
১০. সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতার সময় শেষ মুহূর্তে দূরে সরিয়ে না দেওয়া।
১১. স্ত্রীকে সময় দেওয়া। অবসর সময়গুলো স্ত্রীকে নিয়ে কাটানো।
১২. বাসায় সামর্থ্য অনুযায়ী বাজার সরবরাহ করা। আরামের সাথে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা।
১৩. স্ত্রীর পরিবারের লোকজন বাসায় এলে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করা এবং উত্তমভাবে মেহমানদারি করা।
.
১৪. স্ত্রীকে সুযোগমতো তার বাবার সময় এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের বাসায় নিয়ে যাওয়া।
১৫. নিজেদের একান্ত দাম্পত্য বিষয়গুলো অন্য কারো সামনে প্রকাশ না করা। সংসার জীবনের প্রাইভেসি বজায় রাখা।
.
‘পারিবারিক জীবন ও ইসলাম’ বই থেকে!
No comments