স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সম্পর্ক সুন্দর রাখার টিপস্
বিবাহিত জীবনে প্রচুর অশান্তি??
--মনে হচ্ছে,ঠিক দুপুরে উঠে থাকা জলন্ত "সূর্য"??
--যা পুড়িয়ে ছারখার করে দিবে পুরো পৃথিবী???
--তাই,,ডিভোর্সের কথা ভাবছেন??
_____________________খুব সহজ সমাধান নিন!
--শুধু মনোযোগ সহকারে পড়ুন!
--একটু সময় নষ্ট করে!
--💔 আমাদের বর্তমান সমাজের ৯৬% দম্পতি সুখের বদলে অশান্তির আগুনে জ্বলে পুড়ে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে💔💔--
একজন পুরুষ দোষ দিচ্ছে, তার স্ত্রী অত্যন্ত খারাপ। অপর দিকে একজন স্ত্রী বলছে, তার স্বামী মোটেই ভাল নয়।
----সবাই নিজেকে ধোয়া তুলসি পাতার মত পবিত্র বলে দাবি করে। কিন্তু আপনি যদি নিরপেক্ষ ভাবে একটু ভাবেন তাহলে দেখবেন যে,স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মাঝে কিছু ভুল আছে। আর এই ছোট ছোট ভূলগুলি একদিন জমে বিশাল পাহাড়ে পরিণত হয়। আর দাম্পত্য জীবনে নেমে আসে শান্তির বদলে অশান্তির আগুন। আর জ্বলে পুড়ে শেষ হয় একটি সদ্য ফুটন্ত সুন্দর সপ্ন দেখা পরিবার। আর এই সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্য নিয়ে লিখিত এই পোস্ট।
----♥ইনশাআল্লাহ্ আপনাদের অনেক উপকারে আসবে!
যদি পড়েন আর মানেন তাহলে দেখবেন যে, আপনারাও কাল থেকে সুখী দম্পতি।
----এই যে, বিবাহিত পুরুষ,,,
আপনাকে বলছি __
আচ্ছা আপনি কিভাবে নিশ্চিত যে "শুধু আপনার স্ত্রী একাই অপরাধী? আপনার কি কোন দোষ নেই???
--------💛একজন স্ত্রীর যেমন কর্তব্য রয়েছে তার স্বামীর ওপর! ঠিক তেমনি,একজন স্বামীর ও দায়িত্ব, কর্তব্য রয়েছে তার স্ত্রীর ওপর!💜----------
-----আপনি সেই কর্তব্য গুলো পালন করছেন তো?? --দেখুন তো মিলিয়ে__
🔘স্ত্রী কে ভালবাসা আপনার কর্তব্য!
🔘তার অন্ন,বস্ত্র ও আশ্রয় দেওয়া আপনার পবিত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য!
🔘অন্য একটি পরিবার থেকে সমস্ত মায়া মমতার বন্ধন ছিঁড়ে ,আসা এই স্ত্রী কে আপনার পরিবারের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে আপনাকেই চেষ্টা করতে হবে!
🔘স্ত্রীর সাথে আচার আচরণে এমন ব্যবহার করবেন,যেন সে বুঝতে না পারে,সে অন্য পরিবারে এসেছে!
🔘স্ত্রী কে হেয় প্রতিপন্ন করে, কোন কথা বলবেন না! যাতে সে মনে আঘাত পায়।
🔘সে যদি বাবার বাসাতে যেতে চাই,যেতে দিবেন,এক জায়গায় থাকতে থাকতে মানুষ তিক্ত হয়ে যায়!
🔘তার প্রতি কঠোর ব্যবহার করবেন না,,
কেননা সে আপনাকে শ্রদ্ধা করে!
🔘আপনি যা খাবেন,
তাকেও তাই খেতে দিবেন এবং আপনি যেই পোষাক পরবেন, তাকেও সামর্থ্যানুযায়ী সেইরকম পোশাক পরতে দিবেন!
🔘স্ত্রী আপনাকে যিনা ও অন্যান্য বাহ্যিক পাপ থেকে রক্ষা করে,,তাই তাকে বেশি বেশি আদর যত্ন করবেন!
🔘স্ত্রীকে কখনোই অবহেলা করবেন না!
🔘স্ত্রী কে পর্দাশীল রাখবেন নিজের হেফাজতে!
🔘তাকে সংসারিক কাজে স্বাধীনতা দিবেন!
🔘মাঝে মাঝে ছোট ছোট গিফট করবেন,
মেয়েরা অল্পেই তুষ্ট!
🔘স্ত্রী কে সাথে নিয়ে ঘুরতে যাবেন,,আপনার থেকে এটা আশা করা তার পক্ষে স্বাভাবিক!
🔘স্ত্রী কে সব সময় সত্য বলবেন,,এতে বিশ্বাস তৈরি হবে!
🔘স্ত্রীর ছোট ছোট আবদার গুলো পূরন করবেন!
🔘বেশি বেশি ভালবাসার কথা বলবেন!
🔘সময় পেলে তাকে সময় দিবেন ও ছোট ছোট কাজে তাকে সাহায্য করবেন!
🔘স্ত্রীর সাথে হাসি ঠাট্টা করবেন!
🔘তাকে মাঝে মাঝে খাইয়ে দেবেন! ভালবাসা বাড়বে !
🔘তার প্রতি যত্নশীল হবেন!
✪তাকে তার বাবা মা তুলে কখনো ভুলে গালিগালাজ করবেন না। এটা তাকে প্রচুর কষ্ট দিবে এবং সে কোনোদিনও ভুলবেনা।
💠প্রতিটি পয়েন্ট যদি আপনি করে থাকেন,,
আল্লাহ আপনার ও আপনার স্ত্রীর মধ্যে রহমত বর্ষণ করবেন!
ভালবাসা বৃদ্ধি করে দিবেন!
--------💠পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে,,,,
💔তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এর মধ্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে সে কওমের জন্য, যারা চিন্তা করে।
( আর রুম-২১)
♥💜♥মনে রাখবেন,,গায়ের জোরে একটি দেশ জয় করা গেলেও একটি মন জয় করা যায় না!
মন জয় করতে প্রয়োজন,, প্রেম ভালবাসা!
প্রেম প্রীতি ও ভালবাসাই দাম্পত্য জীবনে সুখ বয়ে আনে!
তাই আপনি আপনার স্ত্রীকে বেশি বেশি ভালবাসুন ও তার প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে উঠুন!
---♥♥♥এই যে বিবাহিত নারী! হ্যাঁ,, এবার আপনাকে বলছি,,
আচ্ছা ,আপনিও কিভাবে নিশ্চিত যে "শুধু আপনার স্বামী একাই অপরাধী?
🔶তার প্রতি যে, আপনার কর্তব্য রয়েছে ,তা সঠিক ভাবে পালন করেন তো??
🔶আপনার ব্যবহারে , আচরণে সে খুশি তো??
*নাকি শুধু, স্বামীর দোষ দিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন??? __বুঝতে পারছেন না তো আমি কি বলছি??
🔶ওকে! নিচে দেওয়া প্রতিটি পয়েন্টের সাথে মিলিয়ে দেখুন,,
স্বামীর প্রতি আপনার কর্তব্য ঠিক মত পালন হচ্ছে কিনাঃ-
🔶স্বামীর সেবা করা!
🔶স্বামীর আদেশ , উপদেশ,নিষেধ মেনে চলা!
🔶স্বামীর সাথে হাসিমুখে কথা বলা!
🔶স্বামীর সাথে কোন বিষয়ে তর্ক না করা!
🔶স্বামীর উপর কোন প্রকার সন্দেহ পোষণ না করা!
🔶স্বামী যেমন ই হোক না কেন,, ধনী,দরিদ্র,শিক্ষিত , অশিক্ষিত,সুন্দর,অসুন্দর যাই হোক না কেন,
সে কিন্তু স্বামী! ,পরম শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি! তাই মনে কোন হিংসা,ঘৃনা ও গর্ব না করে তার খেদমতে নিজেকে উৎসর্গ করা!
🔶স্বামীর বাড়ির সকলকে আপন মনে করা!
🔶কোন অবস্থাতেই স্বামীর উপর আর্থিক চাপ বা নামী দামী কোন কিছু না চাওয়া,যা স্বামীর উপর চাপ সৃষ্টি হয়!
প্রত্যেক স্বামীই তার স্ত্রী কে সামর্থ্য অনুযায়ী সুন্দর ভাবে সাজাতে চাই!
🔶স্বামীর সংসার মানে নিজের সংসার ,
কাজেই সংসারের সমস্ত কাজ কে আপন ভেবে করা!
🔶স্বামীর অনুমতি ব্যতীত বাড়ির বাহিরে না যাওয়া!
🔶স্বামী বাহির হতে ফেরা মাত্র,তার সাথে সংসারের আলাপ না করা ! মন মেজাজ শান্ত হলে তবেই আলাপ আলোচনা করা!
🔶স্বামীর জন্য নিত্য নতুন ভাবে সাজ গোজ করা,,যেন দৃষ্টি অন্যদিকে দেওয়ার সুযোগ না পাই!
🔶এমন ভাবে সাজ গোজ করা,,যেন স্বামীর চোখে নেশা জাগে!
🔶অল্প ভাষিণী স্ত্রী লোকই জ্ঞানবতী,তাই অল্প কথা বলা!
🔶স্বামীর সাথে মনোমালিন্য হলে, তা পুষে না রাখা!
🔶স্বামীর কথায় মুখে মুখে প্রতিবাদ না করা!
🔶স্বামীর সাথে মিথ্যা বা ছলনার আশ্রয় না নেওয়া!
🔶স্বামীকে অধিক অধিক অধিক পরিমাণে ভালবাসা,,এতে মন জয় করা সহজ হবে!
🔶কষ্টে , এবং বিপদে পড়লে স্বামীর সাথে ঝগড়া না করে,, আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া!
কেননা,,, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন,,,,,
♥💜♥হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।*
( সূরা বাকারা-১৫৩)
💠এইসকল দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করা স্বত্বেও যদি আপনার স্বামী /স্ত্রী আপনার সাথে সম্পর্ক ভাল না রাখে,, অবশ্যই ডিভোর্স করতে পারেন!
But.........
আপনি যদি স্বামী/স্ত্রীর প্রতি নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন না করেন ও ছোট খাটো বিষয়ে বড় দোষ দেন,, ডিভোর্স দিয়ে দেন,
অবশ্যই আপনি পাপী ও জাহান্নামি!
আর অবশ্যই মনে রাখবেন,,,,,
💜সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে!
💜পূণ্যবান স্বামী যদি থাকে তাহার সনে!
তাই দুজনকেই একে অপরের সহায়ক হিসেবে লড়ে যেতে হবে।
ভালো লাগলে অন্যের উপকারের উদ্দেশ্যে শেয়ার করবেন....
------------ⓂⓂⓂসূরা নিশা আয়াত নং ৮৫
যে ব্যক্তি ভাল কাজের জন্য সুপারিশ করবে, তার জন্য তাতে (সাওয়াবের) অংশ আছে এবং যে মন্দ কাজের জন্য সুপারিশ করবে, তার জন্য তাতে অংশ আছে, আল্লাহ সকল বিষয়ে খোঁজ রাখেন।
©সংগৃহীত
No comments