Header Ads

Header ADS

কতটুকু সামর্থ্য থাকলে বিয়ে করা উচিৎ?

কতটুকু সামার্থ্য থাকলে বিয়ে করা উচিত?
.
রাসুল (স:) বলেছেন:- হে যুবকগন যাদের সামার্থ আছে তারা বিয়ে করো। বিয়ে তোমাদের চক্ষুকে নিমজ্জিত রাখবে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে।
.
প্রশ্ন হলো এই সামার্থ কতটুকু? কেউ কেউ উত্তরে বলবেন- ছেলে বড় হয়ে ব্যবসা বানিজ্য /চাকরি বাকরি করে ২০/৩০ হাজার টাকা যখন ইনকাম করবে তখন।
.
কিন্তু আমার জবাব হলো : যদি পরিবার এমন দরিদ্র না হয় যে দৈনিকের খাবার দৈনিক আনতে হয় কিংবা নিজেদের থাকা খাওয়াই অনিশ্চিত হয়ে থাকে. তবে শুধু শারিরিক সামর্থই যথেষ্ট।
.
অর্থাৎ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের ক্ষেত্রে শুধু শারিরিক সামর্থ হওয়াই বিয়ের জন্য যথেষ্ট।
.
আসেন একটু ব্যাখ্যা করি: 
১) যদি বিয়ে করে স্ত্রী আপনার সাথেই থাকে  তবে...
স্ত্রীর প্রথম হক: তাকে থাকার জন্য একটা ঘর দেয়া-
বাসায় যে কারোই থাকার জন্য আলাদা রুম থাকে। সেক্ষেত্রে আপনার রুমেই আপনার স্ত্রী থাকবে।তাই ঘরের চাহিদা পুর্ন হবে । 
.
স্ত্রীর খাবার: সন্তানকে খাওয়ানো তার পিতার জন্য সদকা। এবং সন্তানের সাথে তার স্ত্রীকেও খাওয়ানো সদকা হিসেবে গন্য হবে । তাই পিতা স্বাভাবিকভাবেই তার পরিবারের আরেকটা মানুষের জন্য খরচ করতে রাজি হবে । 
..
যদি রাজি না হয় তবুও: 
রাসুল স: বলেছেন: একজনের খাবার দুজনের জন্য যথেষ্ট। যেহেতু আমাদের দেশে পিতার হোটেলেই ছেলে খায় আর পিতা ছেলেকে না খাওয়াইয়া রাখবে না সেহেতু ছেলে তার ভাগের খাবার দিয়েই দুজন মিলে বেশ ভালোভাবেই খেতে পারবে।
.
সাধারনত পরিবারে যে পরিমানে খাবার রান্না করা হয় তাতে এক দুজন অতিরিক্ত মানুষ প্রভাব ফেলে না।বাংলাদেশের মানুষ এতটা কৃপণ না।
..
.
স্ত্রীর পোষাক-আষাক.. এটা ছেলে তার হাত খরচ দিয়েই দিতে পারবে। তাছাড়া ঈদের সময় নিজের জামা কাপড় ক্রয়ের খরচ কমিয়ে স্ত্রীর জন্য বেশ ভালোভাবেই পোষাক ক্রয় করে দিতে পারবে।
.
তাই একজন অতিরিক্ত ব্যক্তি পরিবারে বড় ধরনের কোনো অর্থনৈতিক সমস্যার সৃষ্টি করবে না। 
.

.
২) যদি ছেলের সাথে স্ত্রী না থাকে: তাহলে তো সমস্যাই নাই। মেয়ে বাবার বাড়ি থাকলে তার খরচ তো তার বাবাই বহন করবে।
.
আর দুজনেই সংসার করার পাশাপাশি লেখাপড়া করতে চাইলেও ভালোভাবে লেখাপড়াও করতে পারবে।
.
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য অর্থনৈতিক সমস্যা কোনো বাধা নয়।
.
এছাড়া বিয়ের পর ছেলেরা নিজেরাই কর্মসংস্থান খোজ করে নিজেও স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করে। এইজন্য তার স্ত্রীই তাকে বেশ ভালোভাবে উৎসাহিত করবে।
.
পৃথিবীতে সবার সমস্যা থাকে। কোটিপতিরও সমস্যা থাকে। তাই পারিবারিক টুকটাক সমস্যা থাকবেই। যদি এসব সমস্যার জন্য বিয়ে করতে বিলম্ব করেন তাহলে বুড়া হইয়া বিয়া করতে হবে।
..
অজুহাত দিলে অনেক দেয়া যায়: 
তবে ইসলাম বিয়ের জন্য অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হওয়াকে শর্ত করে নাই। তাছাড়া যখন যুবক যুবতির কবিরা গুনাহের সম্ভাবনা বেড়ে যায় তখন তাদের বিয়ে করা ফরজ হয়ে যায়।
..
আর বর্তমানে বয়ঃসন্ধিকালে পদার্পন করলেই পাপে  জড়ানোর সম্ভাবনা 100 % হয়ে যায়। এমন অবস্থায় অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতাকে শর্ত বানানো সন্তানের উপর জুলুম।
.
তাই যাদের বিয়ের করার মতো সাহস আছে তারা বিয়ে করে ফেলুন।যদি পরিবার রাজি না থাকে তবুও। নিজের চারিত্রিক পবিত্রতা রক্ষা করুন।
.
💞বিয়ে 
 বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
অথবা কপি করুন
#copy

No comments

Powered by Blogger.