Header Ads

Header ADS

প্রতিদিনের আমলসমূহ - আসুন চেষ্টা করি | ইনশাআল্লাহ

#ডেইলি_আমলসমূহ

আসুন আমরা চেষ্টা করি, অন্তত এই আমলগুলো রেগুলার / প্রতিনিয়ত করার। 

ফজরঃ 
আযান সময়কার আমলঃ  
১। আযান মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং আযানের জবাব দেওয়া -
আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো, মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ’ বলবে। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। 

২। আযান শেষ হয়ে গেলে আযানের দুয়া পড়া - 
 اَللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ – وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَة – اتِ مُحَمَّدَانِ الْوَاسِلَةَ وَ الْفَضِيْلَةَ – وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَانِ الَّذِىْ وَعَدْتَه

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ দা'ওয়াতিত তা-ম্মাহ, ওয়াস সলাতিল ক্ক-য়িমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসী-লাতা ওয়াল ফা দ্বী-লাহ, ওয়াব 'আসহু মা ক্কামাম মাহমুদানিল্লাযী ওয়া 'আদতাহ"

৩। আযানের দুয়া পড়ার পর একবার দরুদ শরীফ পড়া -
اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيد

উচ্চারনঃ “আল্লাহুম্মা সল্লি 'আলা মুহাম্মাদিও ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদ কামা সল্লাইতা 'আলা ইব্রহী-মা ওয়া ’আলা আলি ইব্রহী-মা ইন্নাকা হামীদুম মাজী-দ। আল্লাহুম্মা বারিক 'আলা মুহাম্মাদ ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদ কামা বা-রাকতা 'আলা ইব্রহী-মা ওয়া ’আলা আলি ইব্রহী-মা ইন্নাকা হামী-দুম মাজী-দ”।

সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দরুদঃ সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। এটুক পড়লেও একবার পড়া হয়েছে বলে ধরা হবে ইন শা আল্লাহ।

 ওজুর আমলঃ  
১। মেসওয়াক এবং ওজু করা -  
ওজু করার পূর্বে অবশ্যই আমরা মেসওয়াক করব তারপর সুন্নাহ মোতাবেক “বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ” বলে ওজু করা শুরু করব এবং কোন তাড়াহুড়ো করব না ওজু করার ক্ষেত্রে।   

২। ওজু শেষে কালেমা শাহাদাত পড়া -

 اَشْهَدُ اَنْ لَّآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَہٗ لَاشَرِيْكَ لَہٗ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُولُہٗ‎

‘আশহাদু আ ল্লা~ ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা~ শারী-কা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান 'আবদুহু ওয়া রাসূ-লু-হু’

৩। তাহিয়াতুল ওজু নামাজ পড়া - 
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে মুসলমান সুন্দররুপে অজু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি তার প্রতি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকআত নামাজ আদায় করে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।” - (সহিহ মুসলিমঃ ২৩৪, আবু দাউদঃ৩০৪)

ওযুর পরে দুই রাকাত নফল নামাযের এতই সাওয়াব! আলহামুদুলিল্লাহ! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জান্নাতে বেলাল রাঃ এর পদধ্বনি শুনে এসেছেন, যিনি নিয়মিত এই নামায পড়তেন)। 

নামাজঃ  
১। ফজরের দুই রাকাত সুন্নাহ ও দুই রাকাত ফরজ নামাজ পড়া ।
নামাজ শেষে যিকর ও আমলঃ 
১। ফরজ নামাজ শেষে সালাম ফিরিয়ে কারওর সাথে কথা না বলেই এই দুয়া      ৭ বার পড়বে -

اَللَّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِ  

উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার। 
বাংলা অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও”

২। ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়া - 

اللّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

উচ্চারনঃ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বায়্যুম লা তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।

৩। তারপর নিচের দুয়া পড়া -
একবার পড়ব 

اَللَّهُمَّ أَعِنِّى عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ

‘আল্লাহুম্মা আ ইন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবাদাতিকা’।

৪। সুবহানআল্লাহ্ ... আলহামদুলিল্লাহ্... আল্লাহু আকবার পড়া-
ফরজ নামাযের পর এই তিনটি যিকির ৩৩ বার অথবা ১০ বার করে পড়তে হবে। দুইটাই হাদীসে এসেছে। ৩৩ বা ১০ যেটাই হোক, নিয়মিত আমল করতে হবে। অনিয়মিত ৩৩ এর চেয়ে নিয়মিত ১০ অনেক ভালো।

৫। সূরা আত-তাওবার শেষ আয়াত ৭ বার পড়া- 
فَإِن تَوَلَّوا فَقُل حَسبِيَ اللَّهُ لا إِلٰهَ إِلّا هُوَ ۖ عَلَيهِ تَوَكَّلتُ ۖ وَهُوَ رَبُّ العَرشِ العَظيمِ 

উচ্চারণঃ ফাইন তাওয়াল্লাও ফাকুল হাছবিয়াল্লা-হু  লা-ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুওয়া রাব্বুল ‘আরশিল ‘আজীম।
 ৬। সাইয়্যেদুল ইসতিগফার পড়া - 

اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

৭। নিচের দোয়াটি তিনবার পড়ব - 
رضيت بالله ربا و بالاسلام دينا وبمحد نبيا

‘রদ্বী-তু বিল্লা-হি রব্বা, ওয়া বিল ইসলা-মি দী-না, ওয়া বি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা’

৮। কোরআন অর্থসহ তেলোয়াত করা-  
অন্তত ৪ পৃষ্ঠা অর্থসহ কোরআন পড়ব। ইন শা আল্লাহ। 

৯। সকালে সূর্যোদয় এর পর ইশরাকের নামাজ পড়া -  
ফজরের আমল শেষে আমরা ইশরাকের চার রাকআত অথবা সর্বনিম্ম ২ রাকআত নফল নামাজ পড়ার চেষ্টা করব। 

যোহরঃ 

আযান সময়কার আমলঃ  
১। আযান মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং আযানের জবাব দেওয়া -

আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো, মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ’ বলবে। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। 

২। আযান শেষ হয়ে গেলে আযানের দুয়া পড়া - 

 اَللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ – وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَة – اتِ مُحَمَّدَانِ الْوَاسِلَةَ وَ الْفَضِيْلَةَ – وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَانِ الَّذِىْ وَعَدْتَه

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ দা'ওয়াতিত তা-ম্মাহ, ওয়াস সলাতিল ক্ক-য়িমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসী-লাতা ওয়াল ফা দ্বী-লাহ, ওয়াব 'আসহু মা ক্কামাম মাহমুদানিল্লাযী ওয়া 'আদতাহ"

৩। আযানের দুয়া পড়ার পর একবার দরুদ শরীফ পড়া -

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيد

উচ্চারনঃ “আল্লাহুম্মা সল্লি 'আলা মুহাম্মাদিও ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদ কামা সল্লাইতা 'আলা ইব্রহী-মা ওয়া ’আলা আলি ইব্রহী-মা ইন্নাকা হামীদুম মাজী-দ। আল্লাহুম্মা বারিক 'আলা মুহাম্মাদ ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদ কামা বা-রাকতা 'আলা ইব্রহী-মা ওয়া ’আলা আলি ইব্রহী-মা ইন্নাকা হামী-দুম মাজী-দ”।

সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দরুদঃ সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। এটুক পড়লেও একবার পড়া হয়েছে বলে ধরা হবে ইন শা আল্লাহ।

ওজুর আমলঃ  
১। মেসওয়াক এবং ওজু করা -  

ওজু করার পূর্বে অবশ্যই আমরা মেসওয়াক করব তারপর সুন্নাহ মোতাবেক “বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ” বলে ওজু করা শুরু করব এবং কোন তাড়াহুড়ো করব না ওজু করার ক্ষেত্রে।   

২। ওজু শেষে কালেমা শাহাদাত পড়া -
 اَشْهَدُ اَنْ لَّآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَہٗ لَاشَرِيْكَ لَہٗ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُولُہٗ‎

‘আশহাদু আ ল্লা~ ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা~ শারী-কা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান 'আবদুহু ওয়া রাসূ-লু-হু’

৩। তাহিয়াতুল ওজু নামাজ পড়া - 
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে মুসলমান সুন্দররুপে অজু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি তার প্রতি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকআত নামাজ আদায় করে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।” - (সহিহ মুসলিমঃ ২৩৪, আবু দাউদঃ৩০৪)

ওযুর পরে দুই রাকাত নফল নামাযের এতই সাওয়াব! আলহামুদুলিল্লাহ! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জান্নাতে বেলাল রাঃ এর পদধ্বনি শুনে এসেছেন, যিনি নিয়মিত এই নামায পড়তেন)। 

নামাযঃ 
১। যোহরের সুন্নাত ও ফরজ নামাজ পড়ব ।
নামাজ শেষে যিকর ও আমলঃ 
১। ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়া - 

اللّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

উচ্চারনঃ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বায়্যুম লা তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।

২। তারপর নিচের দুয়া পড়া -
একবার পড়ব 

اَللَّهُمَّ أَعِنِّى عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ

‘আল্লাহুম্মা আ ইন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবাদাতিকা’।

৩। সুবহানআল্লাহ্ ... আলহামদুলিল্লাহ্... আল্লাহু আকবার পড়া-
ফরজ নামাযের পর এই তিনটি যিকির ৩৩ বার অথবা ১০ বার করে পড়তে হবে। দুইটাই হাদীসে এসেছে। ৩৩ বা ১০ যেটাই হোক, নিয়মিত আমল করতে হবে। অনিয়মিত ৩৩ এর চেয়ে নিয়মিত ১০ অনেক ভালো।

৪। প্রতিদিন দান করতে পারব এমন পরিমান টাকা দান করা, যদি এক টাকাও হয় তাও প্রতিদিন দান করার চেষ্টা করব. 

আসরঃ 
আযান সময়কার আমলঃ  
১। আযান মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং আযানের জবাব দেওয়া -

আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো, মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ’ বলবে। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। 

২। আযান শেষ হয়ে গেলে আযানের দুয়া পড়া - 

 اَللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ – وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَة – اتِ مُحَمَّدَانِ الْوَاسِلَةَ وَ الْفَضِيْلَةَ – وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَانِ الَّذِىْ وَعَدْتَه

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ দা'ওয়াতিত তা-ম্মাহ, ওয়াস সলাতিল ক্ক-য়িমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসী-লাতা ওয়াল ফা দ্বী-লাহ, ওয়াব 'আসহু মা ক্কামাম মাহমুদানিল্লাযী ওয়া 'আদতাহ"

৩। আযানের দুয়া পড়ার পর একবার দরুদ শরীফ পড়া -

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيد

উচ্চারনঃ “আল্লাহুম্মা সল্লি 'আলা মুহাম্মাদিও ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদ কামা সল্লাইতা 'আলা ইব্রহী-মা ওয়া ’আলা আলি ইব্রহী-মা ইন্নাকা হামীদুম মাজী-দ। আল্লাহুম্মা বারিক 'আলা মুহাম্মাদ ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদ কামা বা-রাকতা 'আলা ইব্রহী-মা ওয়া ’আলা আলি ইব্রহী-মা ইন্নাকা হামী-দুম মাজী-দ”।

সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দরুদঃ সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। এটুক পড়লেও একবার পড়া হয়েছে বলে ধরা হবে ইন শা আল্লাহ।

ওজুর আমলঃ  
১। মেসওয়াক এবং ওজু করা -  

ওজু করার পূর্বে অবশ্যই আমরা মেসওয়াক করব তারপর সুন্নাহ মোতাবেক “বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ” বলে ওজু করা শুরু করব এবং কোন তাড়াহুড়ো করব না ওজু করার ক্ষেত্রে।   

২। ওজু শেষে কালেমা শাহাদাত পড়া -

 اَشْهَدُ اَنْ لَّآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَہٗ لَاشَرِيْكَ لَہٗ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُولُہٗ‎

‘আশহাদু আ ল্লা~ ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা~ শারী-কা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান 'আবদুহু ওয়া রাসূ-লু-হু’

৩। তাহিয়াতুল ওজু নামাজ পড়া - 

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে মুসলমান সুন্দররুপে অজু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি তার প্রতি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকআত নামাজ আদায় করে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।” - (সহিহ মুসলিমঃ ২৩৪, আবু দাউদঃ৩০৪)

ওযুর পরে দুই রাকাত নফল নামাযের এতই সাওয়াব! আলহামুদুলিল্লাহ! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জান্নাতে বেলাল রাঃ এর পদধ্বনি শুনে এসেছেন, যিনি নিয়মিত এই নামায পড়তেন)। 

নামাজঃ   
১। আসরের সুন্নাত ও ফরজ নামাজ পড়ব ।

নামাজ শেষে যিকর ও আমলঃ

১। ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়া - 

اللّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

উচ্চারনঃ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বায়্যুম লা তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।

২। তারপর নিচের দুয়া পড়া -

একবার পড়ব 

اَللَّهُمَّ أَعِنِّى عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ

‘আল্লাহুম্মা আ ইন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবাদাতিকা’।

৩। সুবহানআল্লাহ্ ... আলহামদুলিল্লাহ্... আল্লাহু আকবার পড়া-

ফরজ নামাযের পর এই তিনটি যিকির ৩৩ বার অথবা ১০ বার করে পড়তে হবে। দুইটাই হাদীসে এসেছে। ৩৩ বা ১০ যেটাই হোক, নিয়মিত আমল করতে হবে। অনিয়মিত ৩৩ এর চেয়ে নিয়মিত ১০ অনেক ভালো।

৪। ১০০ বার সুবহানআল্লাহ্ পড়ব ।

মাগরিবঃ  
আযান সময়কার আমলঃ  

১। আযান মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং আযানের জবাব দেওয়া -

আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো, মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ’ বলবে। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। 

২। আযান শেষ হয়ে গেলে আযানের দুয়া পড়া - 

 اَللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ – وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَة – اتِ مُحَمَّدَانِ الْوَاسِلَةَ وَ الْفَضِيْلَةَ – وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَانِ الَّذِىْ وَعَدْتَه

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ দা'ওয়াতিত তা-ম্মাহ, ওয়াস সলাতিল ক্ক-য়িমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসী-লাতা ওয়াল ফা দ্বী-লাহ, ওয়াব 'আসহু মা ক্কামাম মাহমুদানিল্লাযী ওয়া 'আদতাহ"

৩। আযানের দুয়া পড়ার পর একবার দরুদ শরীফ পড়া -

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيد

উচ্চারনঃ “আল্লাহুম্মা সল্লি 'আলা মুহাম্মাদিও ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদ কামা সল্লাইতা 'আলা ইব্রহী-মা ওয়া ’আলা আলি ইব্রহী-মা ইন্নাকা হামীদুম মাজী-দ। আল্লাহুম্মা বারিক 'আলা মুহাম্মাদ ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদ কামা বা-রাকতা 'আলা ইব্রহী-মা ওয়া ’আলা আলি ইব্রহী-মা ইন্নাকা হামী-দুম মাজী-দ”।

সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দরুদঃ সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। এটুক পড়লেও একবার পড়া হয়েছে বলে ধরা হবে ইন শা আল্লাহ।

ওজুর আমলঃ  
১। মেসওয়াক এবং ওজু করা -  

ওজু করার পূর্বে অবশ্যই আমরা মেসওয়াক করব তারপর সুন্নাহ মোতাবেক “বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ” বলে ওজু করা শুরু করব এবং কোন তাড়াহুড়ো করব না ওজু করার ক্ষেত্রে।   

২। ওজু শেষে কালেমা শাহাদাত পড়া -

 اَشْهَدُ اَنْ لَّآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَہٗ لَاشَرِيْكَ لَہٗ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُولُہٗ‎

‘আশহাদু আ ল্লা~ ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা~ শারী-কা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান 'আবদুহু ওয়া রাসূ-লু-হু’

৩। তাহিয়াতুল ওজু নামাজ পড়া - 

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে মুসলমান সুন্দররুপে অজু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি তার প্রতি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকআত নামাজ আদায় করে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।” - (সহিহ মুসলিমঃ ২৩৪, আবু দাউদঃ৩০৪)

ওযুর পরে দুই রাকাত নফল নামাযের এতই সাওয়াব! আলহামুদুলিল্লাহ! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জান্নাতে বেলাল রাঃ এর পদধ্বনি শুনে এসেছেন, যিনি নিয়মিত এই নামায পড়তেন)। 

নামাযঃ   

১। মাগরিবের ফরজ ও সুন্নাত নামাজ পড়ব ।

নামাজ শেষে যিকর ও আমলঃ
১। ফরজ নামাজ শেষে সালাম ফিরিয়ে কারওর সাথে কথা না বলেই এই দুয়া      ৭ বার পড়বে -

اَللَّهُمَّ أَجِرْنِي مِنَ النَّارِ  

উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার। 

বাংলা অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও”

২। ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়া - 

৩। তারপর নিচের দুয়া পড়া -
একবার পড়ব 

اَللَّهُمَّ أَعِنِّى عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ

‘আল্লাহুম্মা আ ইন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবাদাতিকা’।

৪। সুবহানআল্লাহ্ ... আলহামদুলিল্লাহ্... আল্লাহু আকবার পড়া -

ফরজ নামাযের পর এই তিনটি যিকির ৩৩ বার অথবা ১০ বার করে পড়তে হবে। দুইটাই হাদীসে এসেছে। ৩৩ বা ১০ যেটাই হোক, নিয়মিত আমল করতে হবে। অনিয়মিত ৩৩ এর চেয়ে নিয়মিত ১০ অনেক ভালো।

৫। সাইয়্যেদুল ইসতিগফার পড়া - 

اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী, ওয়া আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন শার্রি মা ছানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বিযাম্বী ফাগফিরলী ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

৬। ৭০ বার আস্তাগফিরুল্লাহ পড়া । 

৭। সূরা আত-তাওবার শেষ আয়াত ৭ বার পড়া - 

فَإِن تَوَلَّوا فَقُل حَسبِيَ اللَّهُ لا إِلٰهَ إِلّا هُوَ ۖ عَلَيهِ تَوَكَّلتُ ۖ وَهُوَ رَبُّ العَرشِ العَظيمِ 

উচ্চারণঃ ফাইন তাওয়াল্লাও ফাকুল হাছবিয়াল্লা-হু  লা-ইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুওয়া রাব্বুল ‘আরশিল ‘আজীম।

৮। নিচের দোয়াটি তিনবার পড়ব - 

رضيت بالله ربا و بالاسلام دينا وبمحد نبيا

‘রদ্বী-তু বিল্লা-হি রব্বা, ওয়া বিল ইসলা-মি দী-না, ওয়া বি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা’

এশাঃ 
আযান সময়কার আমলঃ  

১। আযান মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং আযানের জবাব দেওয়া -

আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো, মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন ‘হাইয়্যা আলাস সালাহ’ ও ‘হাইয়্যা আলাল ফালাহ’ বলার সময় শ্রোতা ‘লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ’ বলবে। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। 

২। আযান শেষ হয়ে গেলে আযানের দুয়া পড়া - 

 اَللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ – وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَة – اتِ مُحَمَّدَانِ الْوَاسِلَةَ وَ الْفَضِيْلَةَ – وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَّحْمُوْدَانِ الَّذِىْ وَعَدْتَه

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা রব্বা হা-যিহিদ দা'ওয়াতিত তা-ম্মাহ, ওয়াস সলাতিল ক্ক-য়িমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসী-লাতা ওয়াল ফা দ্বী-লাহ, ওয়াব 'আসহু মা ক্কামাম মাহমুদানিল্লাযী ওয়া 'আদতাহ"

৩। আযানের দুয়া পড়ার পর একবার দরুদ শরীফ পড়া -

اللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ اللَّهُمَّ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ، وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيد

উচ্চারনঃ “আল্লাহুম্মা সল্লি 'আলা মুহাম্মাদিও ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদ কামা সল্লাইতা 'আলা ইব্রহী-মা ওয়া ’আলা আলি ইব্রহী-মা ইন্নাকা হামীদুম মাজী-দ। আল্লাহুম্মা বারিক 'আলা মুহাম্মাদ ওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদ কামা বা-রাকতা 'আলা ইব্রহী-মা ওয়া ’আলা আলি ইব্রহী-মা ইন্নাকা হামী-দুম মাজী-দ”।

সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দরুদঃ সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। এটুক পড়লেও একবার পড়া হয়েছে বলে ধরা হবে ইন শা আল্লাহ।

ওজুর আমলঃ  
১। মেসওয়াক এবং ওজু করা -  

ওজু করার পূর্বে অবশ্যই আমরা মেসওয়াক করব তারপর সুন্নাহ মোতাবেক “বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ” বলে ওজু করা শুরু করব এবং কোন তাড়াহুড়ো করব না ওজু করার ক্ষেত্রে।   

২। ওজু শেষে কালেমা শাহাদাত পড়া -

 اَشْهَدُ اَنْ لَّآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَہٗ لَاشَرِيْكَ لَہٗ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُولُہٗ‎

‘আশহাদু আ ল্লা~ ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা~ শারী-কা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান 'আবদুহু ওয়া রাসূ-লু-হু’

৩। তাহিয়াতুল ওজু নামাজ পড়া - 

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে মুসলমান সুন্দররুপে অজু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি তার প্রতি নিবদ্ধ রেখে দুই রাকআত নামাজ আদায় করে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।” - (সহিহ মুসলিমঃ ২৩৪, আবু দাউদঃ৩০৪)

ওযুর পরে দুই রাকাত নফল নামাযের এতই সাওয়াব! আলহামুদুলিল্লাহ! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জান্নাতে বেলাল রাঃ এর পদধ্বনি শুনে এসেছেন, যিনি নিয়মিত এই নামায পড়তেন) । 

 নামাজঃ  
১। এশারের ফরজ ও সুন্নাত নামাজ পড়ব ।

নামায শেষে যিকর ও আমলঃ  
১। ফরজ নামাজ শেষে আয়াতুল কুরসি পড়া - 

اللّهُ لاَ إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ

উচ্চারনঃ আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বায়্যুম লা তা’খুজুহু সিনাত্যু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিছছামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্। মান যাল্লাযী ইয়াস ফায়ু ইন দাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খল ফাহুম ওয়ালা ইউ হিতুনা বিশাই ইম্ মিন ইল্ মিহি ইল্লা বিমা সাআ ওয়াসিয়া কুরসিইউ হুস ছামা ওয়াতি ওয়াল আরদ্ ওয়ালা ইয়া উদুহু হিফজুহুমা ওয়াহুয়াল আলিয়্যূল আজীম।

২। তারপর নিচের দুয়া পড়া -
একবার পড়ব 

اَللَّهُمَّ أَعِنِّى عَلَى ذِكْرِكَ وَشُكْرِكَ وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ

‘আল্লাহুম্মা আ ইন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবাদাতিকা’।

৩। সুবহানআল্লাহ্ ... আলহামদুলিল্লাহ্... আল্লাহু আকবার পড়া -
ফরজ নামাযের পর এই তিনটি যিকির ৩৩ বার অথবা ১০ বার করে পড়তে হবে। দুইটাই হাদীসে এসেছে। ৩৩ বা ১০ যেটাই হোক, নিয়মিত আমল করতে হবে। অনিয়মিত ৩৩ এর চেয়ে নিয়মিত ১০ অনেক ভালো।

৪। ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি পড়ব ।  

ঘুমানোর আগের আমলঃ 
১। মেসওয়াক এবং ওজু করা -  

ওজু করার পূর্বে অবশ্যই আমরা মেসওয়াক করব তারপর সুন্নাহ মোতাবেক “বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ” বলে ওজু করা শুরু করব এবং কোন তাড়াহুড়ো করব না ওজু করার ক্ষেত্রে।   

২। ওজু শেষে কালেমা শাহাদাত পড়া -

 اَشْهَدُ اَنْ لَّآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَہٗ لَاشَرِيْكَ لَہٗ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُولُہٗ‎

‘আশহাদু আ ল্লা~ ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা~ শারী-কা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান 'আবদুহু ওয়া রাসূ-লু-হু’

৩। সূরা মুলক পড়া । 

৪। সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া ।

৫। আয়াতুল কুরসি পড়া ।

৬। সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক, সূরা নাস পড়ে মাথা মুখমন্ডল ও শরীরের সামনের অংশ যতটুকু সম্ভব হাত বুলানো ।  

তাহাজ্জুদের নামাজ পড়াঃ 

১। মেসওয়াক এবং ওজু করা -  

ওজু করার পূর্বে অবশ্যই আমরা মেসওয়াক করব তারপর সুন্নাহ মোতাবেক “বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ” বলে ওজু করা শুরু করব এবং কোন তাড়াহুড়ো করব না ওজু করার ক্ষেত্রে।   

২। ওজু শেষে কালেমা শাহাদাত পড়া -

 اَشْهَدُ اَنْ لَّآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَحْدَہٗ لَاشَرِيْكَ لَہٗ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُولُہٗ‎

‘আশহাদু আ ল্লা~ ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা~ শারী-কা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান 'আবদুহু ওয়া রাসূ-লু-হু’

৩। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া - 
ফজরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগেই, ঘুম থেকে উঠে ৮ রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ব । যদি সম্ভব না হয়, অন্তত পক্ষে ২ রাকাত নামাজ পড়ব কিন্তু প্রতিনিয়ত পড়ার চেষ্টা করব । 

প্রতি সপ্তাহের আমলঃ 
১। প্রতি শুক্রবার সূরা কাহাফ পড়ব। 
২। সপ্তাহে দুইদিন, সোম এবং বৃহস্পতিবার রোজা রাখব ।  

প্রতি মাসের আমলঃ 
১। প্রতি আরবি (হিজরি) মাসের ১৩,১৪ এবং ১৫ তারিখ রোজা রাখব ।

No comments

Powered by Blogger.