Header Ads

Header ADS

তারপরেও আপনি গান শুনবেন?

গান-বাজনা-বাদ্রযন্ত্র নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই পোষ্টটি সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছিঃ

আল্লাহ তায়ালা গান বাজনা হারাম করেছেন সূরা লোকমান ৬
রসুল (সাঃ) বাজনা শুনতে নিষেধ করেছেন এবং রাসুল (সাঃ)
যখন বাজনার শব্দ শুনতেন তখন আঙ্গুল দিয়ে কান বন্ধ করতেন সহিহ বুখারি ২৯০৬ সহিহ মুসলিম ১৯৩৮ নাম্বার হাদিস
আবু দাউদ ৪৮৪৪
একদা ইবন উমার (রাঃ) বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনে তাঁর কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেন। তিনি সেখান থেকে দূরে গিয়ে আমাকে বলেনঃ হে নাফি! তুমি কি এখনও কোন শব্দ শুনতে পাচ্ছ। আমি বলিঃ না। তখন তিনি তাঁর কান থেকে আঙ্গুল বের করে বলেনঃ একদিন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম, তিনি এরূপ শব্দ শুনে-এরূপ করেন। আবু দাউদ ৪৮৪৪
এরপরে আরো দেখুন👇
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা গায়িকা নারীদের ক্রয়-বিক্রয় করো না, তাদেরকে গান-বাজনা শিক্ষা দিও না, তাদের (ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা) ব্যবসায়ের মধ্যে কোন মঙ্গল নেই এবং এদের মূল্যও হারাম। এ প্রসঙ্গেই এই আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) “এমনও কিছু লোক আছে, যারা বাতিল অশ্লীল কাহিনীসমূহ ক্রয় করে আনে, যেন লোকদের অজ্ঞতাবশত আল্লাহ্‌ তা'আলার পথ হতে আলাদা করতে পারে এবং এ পথকে ঠাট্টা-বিদ্ধপ করতে পারে। এ ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে অপমানকর আযাব"- (সূরা লুকমান ৬)।
তিরমিজী ৩১৯৫ নাম্বার হাদিস
ঢোলক হারাম, বাদ্যযন্ত্র হারাম, তবলা হারাম এবং বাঁশীও হারাম।’ গানের জন্য যা কিছু আছে সব হারাম (বাইহাকী ২০৭৮৯)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি খেল-তামাশা পছন্দ করি না এবং খেল-তামাশারও আমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই। অর্থাৎ আমার সাথে বাতিলের কোন সম্পর্ক নাই। আল আদাবুল মুফরাদ ৭৯০ নাম্বার হাদিস
আব্বাস (রাঃ) বলেন। “এমন কতক লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্ৰষ্ট করার লক্ষ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে”তায়া হচ্ছে গান বাজনা
আল আদাবুল মুফরাদ ৭৯১ নাম্বার হাদিস
আনসার গোত্রের লোকেরা যে সব গান গেয়ে গর্ব করেছিল সে সব গান আবৃত্তি করছিল। এ সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চাদর মুড়ে নিজেকে ঢেকে রেখেছিলেন। এ অবস্থা দেখে আবূ বাকর বালিকা দু’টিকে ধমক দিলেন
সহীহ : বুখারী ৯৮৭, ৩৫২৯, মুসলিম ৮৯২, নাসায়ী ১৫৯৩, ইবনু হিব্বান ৫৮৭৬ মিসকাত ১৪৩২
মহান আল্লাহ বলেন,
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ
অর্থাৎ, মানুষের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞ লোকদের আল্লাহর পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য অসার বাক্য ক্রয় করে এবং আল্লাহর প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে। ওদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। (লুক্বমানঃ ৬)
(২৩০৫) আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) তিন তিনবার কসম খেয়ে খেয়ে বলেছেন, ‘উক্ত আয়াতে ‘অসার বাক্য’ বলতে ‘গান’কে বুঝানো হয়েছে। (তাফসীর ইবনে কাসীর ৩/৪৪১)
গান শুনা হারাম একেবারে পরিস্কার করে বলা হয়েছে
মূর্তি বা ছবি, হিংস্র জন্তুর চামড়া, (মহিলার) নগ্নতা ও পর্দাহীনতা, গান, (পুরুষের জন্য) সোনা ও রেশমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’’ (আহমাদ ১৬৯৩৫, ত্বাবারানী ১৬২৪০-১৬২৪১, সহীহুল জামে’ ৬৯১৪)
আল্লাহ তাদেরকে মাটিতে ধসিয়ে দেবেন এবং বানর ও শূকরে পরিণত, আল্লাহুআকবার
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘অবশ্যই আমার উম্মতের কিছু লোক মদের নাম পরিবর্তন করে তা পান করবে, তাদের মাথার উপরে বাদ্যযন্ত্র বাজানো হবে এবং নর্তকী নাচবে। আল্লাহ তাদেরকে মাটিতে ধসিয়ে দেবেন এবং বানর ও শূকরে পরিণত করবেন!’’ (ইবনে মাজাহ ৪০২০, ইবনে হিব্বান ৬৭৫৮, ত্বাবারানী ৩৩৪২, বাইহাকী ১৭১৬০, সহীহুল জামে’ ৫৪৫৪)
আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘অবশ্যই আল্লাহ আমার উম্মতের জন্য মদ, জুয়া, ঢোল-তবলা এবং বীণা-জাতীয় বাদ্যযন্ত্রকে হারাম করেছেন।---’’ (আহমাদ ৬৫৪৭, সিলসিলাহ সহীহাহ ১৭০৮)
ডুল তবলা হারাম---।’’(ত্বাবারানী ১২৪৩৫, সিলসিলাহ সহীহাহ ১৮০৬)
ফিরিশতা সেই দলের সঙ্গী হন না; যে দলের সাথ মিউজিকের শব্দ থাকে।’’ (আহমাদ ২৬৭৭১, সহীহুল জামে’ ৭৩৪২)
মিউজিক ‘ঘন্টা বা ঘুঙুর হল শয়তানের বাঁশি।’’ (মুসলিম ২১১৪, আবূ দাঊদ ২৫৫৬, আহমাদ ২/৩৬৬, ৩৭২, বাইহাকী ৫/২৫৩
এখনি কি আপনারা গান শুনবে কিনা সেটি আপনারা যানেন
আমি শুধু তুলে ধরেছি গান বাজনা শুনা হারাম
এবং যারা গায় তাদের সব কিছু হারাম,তাদেরকে ভালোবাসাও হারাম যদি তাদেরকে ভালোবাসেন তাহলে তাদের সাথে আপনার হাসর হবে রাসুল (সাঃ) বলেছেন
من تشبه بقوم فهو منهم
جزاك لله خيرا يا اخي الكريم
(🔳 সংকলন


No comments

Powered by Blogger.